Published : Tuesday, 17 September, 2024 at 8:48 PM
সরকার পতনের পর আজ (১৭ সেপ্টেম্বর) প্রথমবার শিল্পকলা একাডেমিতে গেলে সহকর্মীদের বাধার মুখে পড়ে সেখান থেকে বেরিয়ে যেতে বাধ্য হন অভিনেত্রী জ্যোতিকা জ্যোতি। মূলত এদিন দুপুরে শিল্পকলার নতুন মহাপরিচালক সৈয়দ জামিল আহমেদের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন তিনি।
এ ঘটনার পরপরই ফেসবুক লাইভে এসে কান্নায় ভেঙে পড়েন জ্যোতি। লাইভে একপর্যায়ে প্রশ্ন রেখে অভিনেত্রী বলেন, এই অপমান কি আমার প্রাপ্য ছিল? কোনো দলের সমর্থক ছিলাম বলে কি দেশটা আমার নয়? আমি তাহলে কোথায় যাব? আমাকে নিয়ে অনেকে চিন্তিত হয়ে পড়েছেন, আমি ঠিক আছি কি না। তাদের উদ্দেশে বলছি, আমি ঠিক আছি। তবে মানসিকভাবে আমি একদমই ঠিক নেই। জানি না কতদিন লাগবে এসব কাটিয়ে উঠতে।
শিল্পকলা একাডেমিতে যাওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করে অভিনেত্রী বলেন, দুই বছরের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের মাধ্যমে শিল্পকলা একাডেমিতে পরিচালক হিসেবে কাজ করছিলাম। এখনও আমার মেয়াদ শেষ হয়নি এবং নিয়োগ বাতিলেরও কোনো প্রক্রিয়া এখনও হয়নি। সুতরাং আমার চাকরিটা আছে। গত দুই মাস ধরে দেশে যা চলছে, তারপর থেকে শিল্পকলা একাডেমির অফিসের কাজ মোটামুটি বন্ধই বলা যায়। সপ্তাহখানেক হয়েছে নতুন ডিজি এসেছেন, তাই আমার মনে হয়েছে আমার অফিসে যাওয়া উচিত। যদিও সচিব স্যারের, পরামর্শ ছিল- আমি যাতে এখন শিল্পকলায় না যাই। কিন্তু আমার চাকরি তো এখনও আছে। আমারও ভালো লাগছিল না, তাই গিয়েছিলাম।
এ ঘটনায় শিল্পকলার সিনিয়র ইনসট্রাক্টর আইরিন পারভীন লোপা গণমাধ্যমকে বলেন, আজ দুপুর সাড়ে ১২টা পর অফিসে আসেন জ্যোতি। আসার পরই বাইরে বিভিন্ন বিভাগের সহকর্মীদের জড়ো হতে দেখে দরজা বন্ধ করে দেন তিনি। পরে আমরা তাকে অফিস থেকে চলে যেতে বলি। কারণ, তিনি ‘আলো আসবেই’ নামে একটি গ্রুপে যুক্ত হয়ে আন্দোলন করা শিক্ষার্থীদের বিপক্ষে কথা বলেছেন। এমন মানুষকে আমরা সহকর্মী হিসেবে চাই না। জ্যোতি এখনও নিজেকে সরকারের নিয়োগ পাওয়া কর্মকর্তা ভাবছেন। যে সরকার নেই, সেই সরকারের দাপট দেখাচ্ছেন। আমরা তাকে সসম্মানে চলে যেতে বলেছি।