দ্বীপ জেলা ভোলায় ৫ দশমিক ১০৯ ট্রিলিয়ন ঘনফুট (টিসিএফ) উত্তোলনযোগ্য গ্যাস মজুদের সন্ধান মিলেছে। শাহবাজপুর ও ইলিশায় ২.৪২৩ টিসিএফ এবং চর ফ্যাশনে ২.৬৮৬ টিসিএফ মজুদ গ্যাসের সন্ধান মেলে। এর বাজার মূল্য সাড়ে ছয় লাখ কোটি টাকা।
জ্বালানি বিশেষজ্ঞদের মতে, এক টিসিএফ গ্যাস দিয়ে এক বছরের চাহিদা পূরণ সম্ভব, তাই এই মজুদ দিয়ে বাংলাদেশ পাঁচ বছর ধরে গ্যাস সরবরাহ করতে পারবে। বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি লিমিটেড ও রাশিয়ার গ্যাজপ্রম যৌথভাবে ২০২০-২০২৪ সালে এই গবেষণা সম্পন্ন করেছে। বর্তমানে বাংলাদেশ এলএনজি আমদানি করে গ্যাসের চাহিদা পূরণ করছে।
গবেষণায় দেখা গেছে, শাহবাজপুর থেকে ইলিশা পর্যন্ত ৬০০ বর্গকিলোমিটার এলাকায় ২.৪২৩ টিসিএফ এবং চর ফ্যাশনে ১৫২.৬ লাইন কিলোমিটার এলাকায় ২.৬৮৬ টিসিএফ গ্যাস মজুদ রয়েছে। গ্যাজপ্রমের মুখপাত্র এলেক্সি বেলবেজিয়াভ জানিয়েছেন, গবেষণা আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী পরিচালিত হয়েছে।
পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্রনাথ সরকার জানিয়েছেন, ভোলার গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যুক্ত করতে ভোলা-বরিশাল ও বরিশাল-খুলনা গ্যাস পাইপলাইন নির্মাণের পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। এলএনজি ও সিএনজির মাধ্যমে ঢাকায় গ্যাস সরবরাহের প্রস্তুতি চলছে এবং শিগগিরই টেন্ডার দেয়া হবে।