বরিশাল-২ (বানারীপাড়া-উজিরপুর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মো. শাহে আলম তালুকদারের বিরুদ্ধে রাজধানীর গুলশান ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থী নাইমুর রহমান হত্যা মামলায় তিন দিনের রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত।
রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা গুলশান থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রাজু আহমেদকে আদালতে হাজির করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন।
শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসানের আদালত এই রিমান্ডের আদেশ দেন।
এদিকে শাহে আলমের পক্ষে আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষ এর বিরোধিতা করে। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত তার তিন দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।
এর আগে গতকাল শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর গুলশান এলাকা থেকে তাকে আটক করে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শনিবার রাতে সাবেক সাংসদ শাহ আলমকে মারধর করেছে জনতা। পরে তাকে গুলশান থানায় সোপর্দ করা হয়।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, নাইমুর রহমান গুলশান ডিগ্রি কলেজের একজন ছাত্র এবং বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে অংশ নেয়। গত ১৯ জুলাই গুলশান থানাধীন শাহাজাদপুরে মেইন রোডে হাজার হাজার ছাত্র-জনতার আন্দোলনে যোগ দেয়। বিকাল ৪টার পর ৪০০ থেকে ৫০০ জন যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগসহ আওয়ামী লীগের অঙ্গ-সংগঠনের নেতাকর্মীরা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারীদের ওপর অবৈধ্য অস্ত্র দিয়ে গুলি ছোড়ে।
তাদের ছোড়া গুলিতে অনেক আন্দোলনকারী ঘটনাস্থলে গুলিবিদ্ধ হয়। তাদের মধ্যে নাইমুর রহমানও ছিল। পরে তার বাবা ৬৪ জনের নামে মামলা করেন।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা, সজীব ওয়াজেদ জয়, সাবেক চিফ হুইফ নুরে আলম চৌধুরী লিটন, মজিবুর রহমান নিক্সন, নসরুল হামিদ, মোহাম্মদ আলী আরাফাত প্রমুখ।