Published : Friday, 13 September, 2024 at 10:36 PM, Update: 13.09.2024 10:40:55 PM
গাজীপুর মহানগরের পোড়াবাড়ি এলাকায় ফসিহ উদ্দিন ওরফে ফসিহ পাগলার মাজারে হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। এসময় মাজারের সীমানা প্রাচীর, পাকা ভবনসহ বিভিন্ন স্থাপনা ভেঙে গুড়িয়ে দেয়া হয়। পরে মাজারের বিভিন্ন আসবাবপত্রে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়।
শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) জুম্মার নামাজের পর কয়েকশ’ মানুষ লাঠিসোটা, শাবল ও ভাড়া করা একটি বুলডোজার নিয়ে মহানগরের পোড়াবাড়ি এলাকার ওই মাজারে হামলা করে।
আশির দশকে গড়ে ওঠা মাজার চত্বরে একটি হাফিজিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানা ছাড়াও ফসিহ উদ্দিন দাখিল মাদ্রাসা ও মসজিদ রয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, জুম্মার নামাজের পর পর কয়েকশ’ লোকজন ভাড়া করা একটি বুলডোজার, লাঠিসোটা, শাবল, রড নিয়ে আল্লাহু আকবর ধ্বনিতে মাজারে হামলা চালায়। তারা মাজারের পাকা সীমানা প্রাচীর, খাদেমের ঘর, মোমবাতি-আগরবাতি রাখার ঘর ও মাজারের পাকা মূল ভবন গুড়িয়ে দিয়েছে। পরে সেখানে তারা অগ্নিসংযোগ করে লুটপাট চালিয়েছে।
মাদ্রাসার ছাত্র-শিক্ষকরা জানান, ফসিহ উদ্দিনের ভক্তদের দানের টাকা ও ঢাকা-ময়মনসিংহ সড়কে চলাচলকারী যাত্রীদের দানের টাকায় চলে এসব মসজিদ-মাদ্রাসার খরচ। খবর পেয়ে সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘঠনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে ততক্ষণে অবশিষ্ট আর তেমন কিছু নেই।
মাজারে হামলা কেন, প্রশ্নের জবাবে তারা বলেন, মাজারে বাৎসরিক ওরসের সময়ে এবং বিভিন্ন সময়ে কতিপয় লোকজন গাঁজা সেবন এবং গান-বাজনা চালায়, এমন অভিযোগ এনে হামলা চালানো হয়েছে।
এ বিষয়ে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (সদর জোনের) সহকারী কমিশনার মো. মাকসুদুর রহমান জানান, খবর পেয়ে থানা পুলিশ ও সেনাসদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এদিকে শুক্রবার সকালে প্রেসক্লাবের সামনে প্রতিবাদ কর্মসূচিতে বাংলাদেশের মসজিদ, মন্দির ও গির্জাতে সরকার যেভাবে পাহারা দেবার ব্যবস্থা করেছে, ঠিক সেভাবেই মাজারেও নিরাপত্তা দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে সুফি, বাউল ও ওলি-আউলিয়াদের ভক্তরা।
সিলেট, সিরাজগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, ঠাকুরগাঁওসহ দেশে গেলো কয়েকদিনে বেশ কয়েকটি মাজারে হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ইভেন্ট খুলে গুলিস্তানের গোলাপ শাহ মাজার ভাঙার আহ্বান জানানো হয়েছে। যাতে সাড়া দিয়েছে ২২ হাজারের উপর মানুষ।