ভারি বৃষ্টিতে বন্যায় বিপর্যস্ত মিয়ানমারের বিভিন্ন অঞ্চল। রাজধানী নেইপিদোসহ বিভিন্ন এলাকায় প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ১৯ জন। রাস্তা-ঘাট ডুবে যাওয়ায় ভেঙে পড়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা।
টাইফুন ইয়াগির প্রভাবে ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে মিয়ানমারের বিভিন্ন অঞ্চলে এই পরিস্থিতি বলে জানিয়েছে দেশটির আবহাওয়া বিভাগ।
মিয়ানমারের জাতীয় ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ৩ হাজার ৬০০ জনকে নিরাপদ অশ্রয়ে নেয়া হয়েছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে রাজধানী নেইপিদোর রাস্তা ঘাট ডুবে গেছে। বুল্ডোজার ও ক্রেনসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম দিয়েই উদ্ধার অভিযান চালান স্বেচ্ছাসেবীসহ উদ্ধারকর্মীরা। আকস্মিক বন্যায় পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন কয়েক হাজার মানুষ।
নেইপিদোর পাশাপাশি বন্যার কবলে পড়েছে মান্দালের অনেক অঞ্চল। ব্রিজ কালভার্ট ভেঙে যাওয়ায় ব্যাহত হচ্ছে যোগাযোগ ব্যবস্থা।
গত জুলাই মাসেও উজানে ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে ইরাবতী নদীর পানি বিপদসীমা অতিক্রম করলে তীরবর্তী শহর ও গ্রামগুলোতে ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়েছিল হাজার হাজার মানুষ।
এদিকে টাইফু ইয়াগির প্রভাবে থাইল্যান্ডেও বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। দেশটিতে বন্যায় উত্তরাঞ্চলের ঘরবাড়ি, গাছপালা ও ফসলি জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। নতুন করে ৪০টি প্রদেশে ভারি বৃষ্টিপাত ও বন্যার সতর্কতা জারি করেছে দেশটির আবহাওয়া কর্তৃপক্ষ।
ভিয়েতনামেও মৃতের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। সুপার টাইফুন ইয়াগির আঘাতের পর এখনো নিখোঁজ আছেন বহু মানুষ। দেশটিতে পানিতে ভেসে গেছে বহু ঘরবাড়ি। নৌকা দিয়ে চলাচল করা ছাড়া গতি নেই বাসিন্দাদের। পানিবন্দিদের উদ্ধার অভিযান এখনও অব্যাহত আছে।