ভিয়েতনামে সুপার টাইফুন ইয়াগির আঘাতে এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ৫৯ জন নিহত হয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছে আরও কয়েকশ মানুষ। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, দেশটির উত্তরাঞ্চলে শক্তিশালী এই ঘূর্ণিঝড় আঘাত হেনেছে। ব
বিট্রিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, চলতি বছর আঘাত হানা সবচেয়ে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় এটি। শক্তিশালী এই ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে বিভিন্ন স্থানে ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে।
সোমবার (০৯ সেপ্টেম্বর) দেশটির কৃষি ও পল্লী উন্নয়ন মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ভূমিধসে অন্তত ৪৪ জন নিহত হয়েছে। ভিয়েতনামে আঘাত হানার আগে চীন এবং ফিলিপাইনে তাণ্ডব চালিয়েছে এই ঘূর্ণিঝড়।
শনিবার ভিয়েতনামে আঘাত হানে সুপার টাইফুন ইয়াগি। ঝড়টি এখন পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়েছে। বিভিন্ন স্থানে বন্যা এবং ভূমিধসের বিষয়ে সতর্ক করেছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ।
স্থানীয় সময় রোববার হোয়া বিনহ প্রদেশে একটি বাড়ির ওপর পাহাড় ধসে পড়ার ঘটনায় একই পরিবারের চার সদস্য নিহত হয়। স্থানীয় কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে ভিএনইএক্সপ্রেস জানায়, ইয়াগির প্রভাবে কয়েক ঘণ্টা টানা বৃষ্টিপাতের পর মধ্যরাতের দিকে ভূমিধসের ঘটনা ঘটে।
ঘূর্ণিঝড়ের সময় একটি বাড়ি ধসে পড়েছে। দুর্ঘটনা থেকে ৫১ বছর বয়সী এক ব্যক্তি ভাগ্যক্রমে বেঁচে গেছেন। তবে তার স্ত্রী, মেয়ে এবং দুই নাতি নিহত হয়েছে। তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
এর আগে চীনের হাইনানে ভারী বৃষ্টি ও দমকা হাওয়া নিয়ে আঘাত হানে টাইফুন ইয়াগি। এতে অন্তত দুজন নিহত এবং আরও ৯২ জন আহত হয়েছে।
এদিকে রোববার দুপুরের দিকে ভিয়েতনামের উত্তরাঞ্চলীয় লাও সেই প্রদেশের সা পা এলাকায় ভূমিধসের ঘটনায় ১৭ জন চাপা পড়ে। এর মধ্যে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। বাকি নয়জন আহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে ৬৮ বছর বয়সী এক নারী, এক বছর বয়সী এক শিশু এবং এক নবজাতক রয়েছে। তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
ইয়াগির প্রভাবে ঘন্টায় ২৩০ কিলোমিটারের (১৪৩ মাইল) বেশি বেগে ঝোড়ো বাতাস বয়ে গেছে। এছাড়া বিভিন্ন স্থানে গাছ উপড়ে পড়েছে এবং দ্বীপটির সাড়ে চার লাখের বেশি মানুষকে নিরাপদে সরিয়ে নেয়া হয়।
রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, উত্তরাঞ্চলীয় কুয়াং নিহ প্রদেশে চারজন এবং হ্যানয়ের কাছাকাছি হাই ডুয়োং শহরে আরও একজন নিহত হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, তুয়ান চাউ দ্বীপের হাই আউ বোট লকে কমপক্ষে ২৩টি নৌকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বা ডুবে গেছে। ভিয়েতনামে আঘাত হানার আগে চীন এবং ফিলিপাইনে টাইফুন ইয়াগির আঘাতে কমপক্ষে ২৪ জন নিহত এবং আরও বেশ কয়েকজন আহত হয়।
ভিয়েতনামের উপকূলীয় শহরগুলো থেকে প্রায় ৫০ হাজার মানুষকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। লোকজনকে এই সময়ে বাড়িতেই অবস্থান করার জন্য সতর্ক করা হয়েছে। হ্যানয়সহ উত্তরাঞ্চলের ১২টি প্রদেশে সব স্কুল সাময়িক সময়ের জন্য বন্ধ রাখা হয়েছে।