Published : Wednesday, 4 September, 2024 at 9:20 AM
উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও অতি বর্ষণে ফেনীতে স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়েছিল কয়েক লাখ মানুষ। এই সকল এলাকাগুলোতে বর্তমানে খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানির সংকট দেখা দিয়েছে। পর্যাপ্ত পরিমাণ সহায়তার পরও প্রত্যন্ত এসব এলাকায় তা পৌঁছায়নি। ফলে অধিকাংশ জায়গায় ত্রাণের জন্য হাহাকার করছেন মানুষজন। দ্রুত ত্রাণ সহায়তা চেয়েছেন তারা।
উপজেলার বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বেশিরভাগ এলাকার গ্রামীণ সব রাস্তাঘাট তলিয়ে যাওয়ায় সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। সারা দেশ থেকে ত্রাণ ও উদ্ধারকর্মীরা ফুলগাজী, পরশুরাম, ছাগলনাইয়া উপজেলায় প্রবেশ করলেও ত্রাণ পাচ্ছেন না দাগনভূঞার পানিবন্দি লাখো মানুষ। পানিবন্দি হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন উপজেলার নারী-শিশু ও বৃদ্ধরা।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, এই উপজেলার বন্যার ভয়াবহতা সম্পর্কে প্রচারণা না থাকায় কেউ তাদের উদ্ধার করতে আসছেন না। এজন্য তারা ত্রাণ এবং কোনও ধরনের সহযোগিতা পাচ্ছেন না।
দুর্ভোগের কথা জানিয়ে সোনাপুর গ্রামের ছালেহ আহমেদ বলেন, ‘ফুলগাজী ও পরশুরামের আগে দাগনভূঞার সব কটি গ্রাম ডুবে গিয়েছিল। কিন্তু দুঃখের বিষয় এখানের দুর্ভোগের কথা আলোচনায় আসেনি। আমাদের গ্রামসহ আশপাশের গ্রামগুলোতে সরকারি বা স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কোনও ত্রাণ সহায়তা পৌঁছায়নি। খাবারের কষ্টে আমরা হাহাকার করছি। সেইসঙ্গে দেখা দিয়েছে সুপেয় পানির সংকট।’
নেয়াজপুর গ্রামের বাসিন্দা আব্দুর রহিম ও আলী হোসেন জানান, অন্তত ১৫ দিন ধরে তাদের গ্রামগুলো পানির নিচে ডুবে আছে। গ্রামগুলো শহর থেকে অনেক ভেতরে হওয়ায় কেউ সেখানে আসছেন না। যার কারণে খাবার সংকট দেখা দিয়েছে। পুরো উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের গ্রামগুলোর একই অবস্থা।
ফেনীর জেলা প্রশাসক শাহীনা আক্তার বলেন, ‘এখন পর্যন্ত জেলার ছয় উপজেলায় আট লাখ ২৪ হাজার ৩৯২ জন মানুষ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছেন ৬৬ হাজার ৪৪৫ জন। যারা এখনও পানিবন্দি অবস্থায় আছেন, তাদের মাঝে ত্রাণ সহায়তা পৌঁছানোর চেষ্টা অব্যাহত রেখেছি আমরা।’