বাংলাদেশে স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যা শুরুর পর থেকেই অভিযোগের আঙ্গুল উঠছে ভারতের দিকে। ডুম্বুর ও ফারাক্কা বাঁধ খুলে দিয়ে রীতিমত অঘোষিত জলযুদ্ধ ঘটিয়েছে ভারত। এই বন্যায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে কুমিল্লা। জেলার অন্যান্য খাতের মতো মৎস্য খাতেও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। মাছ উৎপাদনে বেশ কয়েকবার প্রথম ও দ্বিতীয় হওয়া এ জেলায় ভয়াবহ বন্যায় মৎস্য খাতে মোট ক্ষতি হয়েছে ৪০৪ কোটি টাকার। যা অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি।
বুধবার (২৮ আগস্ট) জেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে এসব তথ্য জানিয়েছে।
কার্যালয়টি জানিয়েছে, চলমান বন্যায় জেলার মোট ২৩ হাজার ৪২টি খামার বা পুকুর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আয়তনে যা ৫ হাজার ৮৩৫ দশমিক ৬১ হেক্টর।
ক্ষতিগ্রস্ত এসব খামার থেকে ২৫ হাজার ৫৩৮ দশমিক ৫০ টন ফিন ফিশ, ১০ দশমিক ২৮ টন চিংড়ি, ১০ কোটি ১৭ লাখ সংখ্যক পোনামাছের ক্ষতি হয়েছে। বাজার মূল্যে হিসেবে, মাছে ৩৫৮ কোটি ১২ লাখ টাকা, চিংড়িতে ৫ কোটি টাকা, ১৭ কোটি ৮ লাখ ৯২ হাজার টাকার পোনা জাতীয় মাছের ক্ষতি হয়েছে।
এছাড়াও ২২ কোটি ৯৫ লাখ টাকার পুকুর, খামার বা স্লুইস গেটের অবকাঠামোর ক্ষতি এবং ৮০ লাখ টাকার মূল্যের জাল বিনষ্ট হয়েছে।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. বেলাল হোসেন বলেন, বন্যায় মৎস্য খাতে ক্ষতির একটি প্রাথমিক তালিকা তৈরি করেছি। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়তে পারে। বানের পানি নেমে গেলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ সঠিকভাবে নিরূপণ করা যাবে।