শিরোনাম: |
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের দায়িত্ব পেলে পরিকল্পনা কী হবে তা নিয়া কথা বলেছেন পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ও ইউনিভার্সিটি টিচার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইউট্যাব)-এর সভাপতি ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম। বক্তব্যের শুরুতেই দ্বিতীয় স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদদের শ্রদ্ধা ভরের স্মরণ করেন তিনি।
তিনি বলেছেন, যে স্বপ্ন পূরণের জন্য বৈষম্য বিরোধী ছাত্ররা অকাতরে জীবন দিয়েছেন তা পুরনই হবে আমার প্রথম পদক্ষেপ। সেজন্য দল মতের ঊর্ধ্বে উঠে একটি সার্বজনীন বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করতে চান তিনি।
তিনি বলেন, আমি মনে করি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির চেয়ারে বসার পর একজন শিক্ষকের রাজনৈতিক পরিচয় ভুলে যাওয়া উচিত। পরিবর্তিত বাংলাদেশে এটি আরো বেশি দরকার। বড় দলমত এর উর্ধ্বে উঠে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বার্থে কাজ করাই একজন ভিসির প্রধান দায়িত্ব বলে আমি মনে করি। আমার বিশ্বাস বিভিন্ন রাজনৈতিক ছাত্র সংগঠনের নেতারাও পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ে সবার মতের গুরুত্ব দেয়ার ব্যাপারে আন্তরিক থাকবে।
অধ্যাপক ওবায়দুল ইসলাম বলেন, আমার চেষ্টা থাকবে গত ১৬ বছরে শিক্ষা ক্ষেত্রে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় যেভাবে পিছিয়ে পড়েছে সেই ক্ষতি পুষিয়ে নিতে একটি গবেষণা সেল বা গবেষণা কমিশন গঠন। শিক্ষকদের জন্য গবেষণাকে সবচেয়ে গুরুত্ব দেয়া হবে। সেই সাথে বরাদ্দ বাড়ানো হবে গবেষণা খাতে। শিক্ষকদের পদোন্নতিতেও গবেষণা মানদণ্ড হিসেবে কাজ করবে।
তিনি আরও বলেন আমি ভিসি হলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বাধীন ধর্ম পালনের পরিবেশ তৈরিতে আপোসহীন থাকবো। এখানে সিঁদুর পরে একটি মেয়ে ক্লাসে আসতে পারবেন। আবার বোরকা পরেও ক্লাস করতে পারবেন মেয়েরা। ধর্মীয় কোন বাধা থাকবে না। স্বাধীন মত ও দ্বিমত পোষণের ক্যাম্পাস হবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
ড. ওবায়দুল ইসলাম বলেন, সব দল মতের মানুষকে সাথে নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে আবার এই জাতির আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতীক হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা হবে। সত্যিকারের মুক্ত বুদ্ধির চর্চা থাকবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে। সেই সাথে শিক্ষকরা কোন ভুল করলে ছাত্ররা তা শুধরে দিবে এমন গণতান্ত্রিক পরিবেশ বজায় থাকবে এখানে।
তিনি বলেন, ক্যাম্পাস ও আবাসিক হলে ছাত্রলীগ যে নির্যাতন দখলদারিত্ব কায়েম করেছে তা থেকে আমি সর্বশক্তি দিয়ে ছাত্রদলকে নিয়ন্ত্রণে রাখবো। আমি কথা দিচ্ছি আমি ভিসি হলে ছাত্রদল হল চালাবে না। হল চালাবে আবাসিক শিক্ষকরা। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বৈধ শিক্ষার্থীরাই হল গুলোতে সিট পাবে।
দেশসংবাদ/এমএম/এমএইচ
আপনার মতামত দিন
|