যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু রাজি হয়েছেন। হামাসকেও তা মেনে নেয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন।
ডয়চে ভেলের খবরে বলা হয়েছে, সোমবার (২০ আগস্ট) তেল আবিবে ব্লিংকেন জানিয়েছেন, নেতানিয়াহুর সঙ্গে তার খুবই কার্যকর বৈঠক হয়েছে। সেখানে নেয়ানিয়াহু তাকে জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র যে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দিয়েছে তা তিনি মেনে নিচ্ছেন। এখন হামাস তা মেনে নিক।
ব্লিংকেন বলেছেন, ইসরায়েলের বন্দিদের মুক্তি দিয়ে গাজায় ফিলিস্তিনিদের স্বস্তি ফেরানোর বিষয়টি এখন হামাসের ওপর নির্ভর করছে।
তিনি বলেন, এটা নির্ণায়ক মুহূর্ত। যুদ্ধবিরতি করে বন্দিদের ঘরে ফেরানোর এবং দীর্ঘস্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার এর থেকে ভালো সুযোগ সম্ভবত আর পাওয়া যাবে না।
অ্যান্টনি ব্লিংকেনের সঙ্গে সফররত এক মার্কিন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, তাদের মনে হচ্ছে, চুক্তির ক্ষেত্রে যে বিরোধ আছে, এখন তা মিটিয়ে ফেলা সম্ভব। তাই কাজ চালিয়ে যাওয়া উচিত।
যুক্তরাষ্ট্র, কাতার ও মিশর যুদ্ধবিরতি চুক্তির জন্য মধ্যস্থতা করছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত তাদের চেষ্টা সফল হয়নি।
রোববার নেতানিয়াহু মন্ত্রিসভার বৈঠকে জানিয়েছেন, কিছু ক্ষেত্রে ইসরায়েল নমনীয় হতে পারে, কিন্তু কিছু ক্ষেত্রে তাদের অবস্থানের বদল হবে না।
এদিকে হামাস জানিয়েছে, নতুন শর্ত গাজা যুদ্ধবিরতি ও বন্দি-জিম্মি মুক্তি চুক্তির পরিপন্থি। যুদ্ধকে দীর্ঘায়িত করতেই এ শর্ত আরোপ করা হয়েছে।
তেল আবিব থেকে ব্লিংকেন এখন কাতার যাবেন। কাতারও মধ্যস্থতার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। কাতারের সঙ্গে তিনি যুদ্ধবিরতির বিষয়টি নিয়ে কথা বলবেন। পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করবেন।
মধ্যস্থতাকারীদের একাংশ মনে করছেন, যুদ্ধবিরতি চুক্তি এবার হয়ে যাবে, তবে ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে উত্তেজনার ফলে এই সংঘাত আরও বাড়ার আশঙ্কাও করছেন অনেকে।
চলতি সপ্তাহের শেষদিকে মিশরে যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা হবে। ইসরায়েল-হামাস সংঘাত শুরুর পর ১০ মাসে এই নিয়ে ৯ বার মধ্যপ্রাচ্য সফর করলেন ব্লিংকেন।