রংপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে এক বন্দির মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ায় আহত হয়েছেন অর্ধশতাধিক বন্দি। খবর পেয়ে সেনা ও র্যাব সদস্যরা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
কারাগার সূত্রে জানা গেছে, রংপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে আটক বাহারুল ইসলাম নামে এক বন্দি শুক্রবার (১৬ আগস্ট) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। এ সময় রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ খবর কারাগারে ছড়িয়ে পড়লে বন্দিদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। কারা কর্তৃপক্ষের দায়িত্বহীনতা ও অবহেলায় ওই বন্দি মারা গেছেন বলে অভিযোগ তোলা হয়। এ সময় বন্দিদের মধ্যে দুপক্ষে বিক্ষোভ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কারাপুলিশ ফাঁকা গুলি ছোড়ে। এতে আহত হন অর্ধশতাধিক কারাবন্দি।
এরপর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে বিষয়টি জেলা প্রশাসককে জানানো হয়। খবর পেয়ে জেলা প্রশাসক মোবাশ্বের হাসান বেলা ১২টায় রংপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে আসেন। এরপরেই সেনাবাহিনীর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, সেনা ও র্যাব সদস্যরা কারাগারে আসেন। এরপরেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
এ বিষয়ে রংপুর জেলা প্রশাসক মোবাশ্বের হাসান জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। হৃদরোগে এক বন্দির মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে কারাগারে দুই গ্রুপে সংঘর্ষ বাঁধে। পরে সেনা ও র্যাব সদস্যদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এসেছে।