রাজধানীর প্রেসক্লাবের সামনে ও কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ‘দ্রোহযাত্রা’ সমাবেশ করেছেন ছাত্র, শিক্ষক ও জনতা। এতে সব বয়সী মানুষের ঢল নামে। এখান থেকে আগামী রোববার (৪ আগস্ট) নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে।
শুক্রবার (২ আগস্ট) দুপুর ২টার পর থেকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ‘দ্রোহযাত্রা’য় অংশ নিতে জড়ো হন হাজারও শিক্ষক-শিক্ষার্থী, সংস্কৃতিকর্মীসহ নানা শ্রেণিপেশার মানুষ। এ সময় বিভিন্ন প্রতিবাদী গান ও কবিতা পরিবেশন হয়।
এরপর বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে প্রেসক্লাব থেকে হাইকোর্টের মাজারগেট হয়ে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দোয়েল চত্বর দিয়ে শহীদ মিনারে পৌঁছায় মিছিলটি। এ সময় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ জনসমুদ্রে পরিণত হয়।
‘দ্রোহযাত্রা’ শেষে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ থেকে চার দফা দাবিসহ নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেন ছাত্র-শিক্ষক-জনতা। দাবি মানা না হলে রোববার বিকেল ৩টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে থেকে গণমিছিল কথা জানান সমাজকর্মী ডা. হারুনুর রশীদ ও ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি রাগীব নাঈম।
হারুনুর রশীদ বলেন, আমাদের কথা খুব পরিষ্কার। অবিলম্বে শেখ হাসিনা সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। আটক সব ছাত্র-জনতাকে মুক্তি দিতে হবে। কারণ আপনারা সরকার পরিচালনায় অযোগ্যতার প্রমাণ দিয়েছেন। আর আপনারা পদত্যাগ করতে ব্যর্থ হলে আমাদের ইতিহাসে আরও অনেক ঘটনা ঘটেছে। নাহলে আপনাদেরও একই পরিণতি হবে।
অন্যদিকে, গণমিছিলের পাশাপাশি দ্রোহযাত্রা সমাবেশের ঘোষণা দেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ।
এদিকে, আজকের দ্রোহযাত্রায় আরও ছিলেন- জনস্বাস্থ্যবিদ মুশতাক হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সি আর আবরার, উন্নয়ন অর্থনীতি বিষয়ক গবেষক মাহা মির্জা, শিক্ষক রেহনুমা আহমেদ, আসিফ নজরুল, সামিনা লুৎফা, লেখক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম, সিপিবির সাবেক সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম।