কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে নাশকতা-সহিংসতায় ১৪৭ জন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে সরকার। এদের মধ্যে সাধারণ মানুষ, শিক্ষার্থী, আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী, সাংবাদিক এবং পুলিশের কয়েকজন সদস্য রয়েছেন।
রোববার (২৮ জুলাই) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে নিহতের এই সংখ্যা জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
তিনি বলেন, মৃতের সংখ্যা নির্ণয়ে আরও অনুসন্ধান চলছে। নিহতদের মধ্যে কতজন নারী, কতজন পুরুষ কিংবা কোন পেশার মানুষ কতজন- সেটি নির্ধারণের কার্যক্রমও চলছে।
কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে গত ১৭ জুলাই বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে এক শিক্ষার্থীসহ কয়েকজনের নিহতের খবর আসে। এর পরের দুইদিন দেশব্যাপী সহিংসতায় নিহতের সংখ্যা আরও বাড়ে।
সারাদেশে কতজন নিহত হয়েছেন সেই সংখ্যা নিয়েও বিভ্রান্তি দেখা দেয়। বিভিন্ন গণমাধ্যমে বিভিন্নরকম খবর বের হয়। তবে এতদিন সরকারের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু বলা হয়নি।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কখনো বলা হচ্ছে ৫০০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আসলে মৃত্যু নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে। ছাত্র কতজন এখনও বিস্তারিত জানা যায়নি। আরও যাচাই করে তথ্য জানানো হবে।
এসময় ব্লক রেইড দিয়ে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে, শিশুদেরও গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। সেক্ষেত্রে মানবাধিকারের লঙ্ঘন করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে– জানতে চাইলে তিনি বলেন, শিশুদের গ্রেপ্তার করার কথা উদ্দেশ্যমূলকভাবে বলা হচ্ছে। এ কাজে (সহিংসতা) টাকার বিনিময়ে কিশোর গ্যাংদের কাজে লাগানোর তথ্য আছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, পুলিশকে যেভাবে পৈশাচিকভাবে মেরেছে। একইভাবে আমরা দেখেছি আত্মসমর্পণ করার পরও পুলিশকে গুলি করেছে।
দেখেছি গাড়ি থেকে লাশ টেনে হিঁচড়ে ফেলে দেয়া হচ্ছে– এ বিষয়ে আসাদুজ্জামান খান বলেন, আমাদের পুলিশ ট্রেনিং দেয়া পুলিশ। তাদের অযথা গুলির করার দরকার হয় না। প্রতিটি গুলির হিসাব তাকে দিতে হয়। প্রতিটি মৃত্যুর জবাবদিহি তাকে করতে হয়। পুলিশ অযথা গুলি করেছে, শিশুকে মেরে ফেলেছে। এগুলো সম্পূর্ণই গুজব, অপপ্রচার।
গণগ্রেপ্তারে নির্দোষ মানুষকেও গ্রেপ্তার করা হচ্ছে– এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আপনাদের কাছে তথ্য আছে? কাকে আমরা বিনা ইসে ধরেছি। আমাদের গোয়েন্দা বাহিনী পুলিশকে তালিকা করে দিয়েছে, প্রত্যেকটি গ্রেপ্তার ভিডিও ফুটেজ দেখে করা হচ্ছে।