যুক্তরাষ্ট্রের আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ও সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ওপর হামলার ঘটনাটিকে ‘হত্যাচেষ্টা’ হিসেবে দেখছে দেশটির তদন্ত সংস্থা ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই)।
ট্রাম্পের ওপর গুলি চালানোর পর এক প্রেস কনফারেন্সের এফবিআই কর্মকর্তা কেভিন রোজেক এ কথা জানান বলে বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
তিনি বলেন, আজ সন্ধ্যায় সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ওপর হামলার ঘটনাটিকে আমরা তাকে হত্যার চেষ্টা হিসেবেই দেখছি।
এফআইবি সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করছে বলেও এ সময় জানান সংস্থাটির কর্মকর্তা কেভিন।
শনিবার (১৩ জুলাই) স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় পেনসিলভেনিয়ায় নির্বাচনী সমাবেশে বক্তব্য দেয়ার সময় ট্রাম্পকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। এতে ডান কানে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ট্রাম্প।
পরে সিক্রেট সার্ভিস সদস্যদের গুলিতে হামলাকারী নিহত হয়। এ ঘটনায় ট্রাম্পের সমাবেশে আসা এক ব্যক্তিও নিহত হন, আহত হন আরও দুজন।
সোশাল মিডিয়ায় হামলার একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে। তাতে দেখা গেছে, ট্রাম্প মঞ্চে দাঁড়িয়ে বক্তব্য দিচ্ছেন। এ সময় হঠাৎ গুলির শব্দ হয়। সঙ্গে সঙ্গে কানে হাত দিয়ে নিচে বসে পড়েন ট্রাম্প। এরপর নিরাপত্তারক্ষীরা দ্রুত তাকে ঘিরে ফেলেন। বেশ কিছুক্ষণ বসেছিলেন ট্রাম্প। মঞ্চেই পোডিয়ামের আড়ালে তাকে ঘিরে দাঁড়িয়ে ছিলেন নিরাপত্তারক্ষীরা। কিছুক্ষণ পরে তাকে ধরে আস্তে আস্তে তোলা হয়। ট্রাম্প উঠে দাঁড়ান।
সে সময় দেখা যায়, ট্রাম্পের ডান কান থেকে রক্ত গড়িয়ে পড়ছে। রক্ত লেগেছে মুখেও। মঞ্চ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময়ে স্লোগান দিতে শুরু করেন ট্রাম্প। ডান হাতের মুঠি শক্ত করে উপরের দিকে ছুড়ে দিয়ে তাকে বলতে শোনা যায়, ‘ফাইট, ফাইট।’
যু্ক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ও ডেমোক্র্যাট পার্টির প্রার্থী জো বাইডেন এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন।
তিনি এ ঘটনাকে ‘জঘন্য’ আখ্যায়িত করে এক বিবৃতিতে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের এ ধরনের সহিংসতার কোনও জায়গা নেই।
যুক্তরাষ্ট্রের সিক্রেট সার্ভিসের মুখপাত্র অ্যান্থনি গুগলিয়েলমি জানিয়েছেন, ডোনাল্ড ট্রাম্প এখন নিরাপদ আছেন। ঘটনাটি সিক্রেট সার্ভিস তদন্ত করছে।
সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এখন ‘ভালো আছেন’ বলে জানিয়েছে তার প্রচার দলও।