একের পর এক বন্দুক হামলায় বিপর্যস্ত যুক্তরাষ্ট্র। চলতি বছর প্রথম ছয় মাসে ৩শ’র বেশি বন্দুক সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে দেশটিতে। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় হামলাটি হয়েছিল কেন্টাকির ফ্লোরেন্সে। সেই ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছিলেন ৫ জন। গবেষণা বলছে, আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ন্ত্রণ আইন জোরদার করা হলেও কিছু রাজ্যে বন্দুক বহনের বিধিনিষেধ শিথিল হওয়ার কারণেই ঘটছে এমন সহিংসতা।
স্থানীয় সময় শনিবার (১৩ জুলাই) মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের ওপরই হামলা হয়েছে নির্বাচনী জনসভায়। সেই ঘটনায় হামলাকারীসহ দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। রক্তাক্ত হয়েছেন ট্রাম্প।
এ ছাড়া গত ১০ জুলাই ক্যালিফোর্নিয়ার আলামেডায় এক বন্দুক হামলায় মৃত্যু হয়েছিল ৪ জনের। এই অবস্থায় ১৩ জুলাই পর্যন্ত চলতি বছর আমেরিকায় ৩৩৬ টি বন্দুক হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে মারা গেছেন ৪২২ জন।
অন্যদিকে সংবাদমাধ্যম বিবিসির তথ্যানুযায়ী, চলতি বছরের জানুয়ারিতে শিকাগোর শহরতলিতে তিনটি ভিন্ন জায়গায় ঘুরে গুলি চালিয়ে আটজনকে খুন করেছিল এক বন্দুকধারী। চলতি বছর এখন পর্যন্ত মার্কিন মুলুকে এটিই ছিল অন্যতম প্রথম বড় ঘটনা।
রিপোর্ট অনুযায়ী, চলতি বছর ৩০ জুন পর্যন্ত আমেরিকায় ৩০২টি বন্দুকবাজের হামলার ঘটনা ঘটেছে। এই সব ঘটনা সব মিলিয়ে ৩৯০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন ১২১৬ জন। এরপর এই জুলাই মাসেও ট্রাম্পের ওপরে হামলার ঘটনাসহ ৩৪টি 'মাস শুটিংয়ের' ঘটনা ঘটেছে আমেরিকায়। এই সব ঘটনায় প্রায় হারিয়েছেন মোট ৩২ জন।
যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় নিয়মিত বন্দুকবাজের হামলার ঘটনা সামনে আসে। প্রতিবছরই এই ধরনের ঘটনায় কয়েক শ' মানুষের মৃত্যু হয় মার্কিন মুলুকে।
প্রসঙ্গত, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও বেশ কয়েকবার দেশটিতে বন্দুক সহিংসতার সংখ্যা বৃদ্ধি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তার রাজনৈতিক দল 'ডেমোক্র্যাটিক পার্টি' এর সদস্যরা পার্লামেন্টে প্রচলিত অস্ত্র ক্রয়, সংরক্ষণ ও ব্যবহার বিষয়ক আইনের সংস্কার চেয়ে একাধিকবার বিল উপস্থাপন করেছেন। কিন্তু বিরোধী দল 'রিপাবলিকান পার্টি' এর আপত্তির কারণে সেসব বিল পাস হয়নি। সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস