Published : Saturday, 13 July, 2024 at 5:59 PM, Update: 13.07.2024 6:07:43 PM
কোটা সংস্কারের আন্দোলনের সময় রাজধানীর শাহবাগে পুলিশের সাঁজোয়া যান ও জল কামান ভাঙচুরের অভিযোগে মামলা হয়েছে। মামলায় দুটি যানবাহনে জোর করে উঠে ‘উদ্দাম নৃত্য’ও ভাঙচুর করে পাঁচ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি করার অভিযোগ আনা হয়েছে।
শুক্রবার (১৩ জুলাই) বিকেলে রাজারবাগ পুলিশ লাইনের পরিবহন বিভাগের ড্রাইভার খলিলুর রহমান বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। মামলায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করা হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন আন্দোলনকারীরা। মিছিলটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে বিকাল ৫টার দিকে শাহবাগে এসে অবস্থান নেয়।
আন্দোলনকারীদের একাংশ বাংলামোটরের দিকে যেতে চাইলে পুলিশ বাধা দেয়। শেষ পর্যন্ত তারা শাহবাগেই অবস্থান নেন। এসময় পুলিশ ইন্টারকন্টিনেন্টালের দিকে সরে গেলেও তাদের একটি সাঁজোয়া যান (এপিসি) শিক্ষার্থীদের মাঝে পড়ে যায়। শিক্ষার্থীরা যানটির ওপর উঠে বিক্ষোভ দেখান।
এতে সাঁজোয়া যানটির দুটি এসএস স্ট্যান্ড, রেডিও অ্যান্টেনা, মাডগার্ড, জল কামান ও লুকিং গ্লাস ভেঙে যায় বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ছাত্রদের বুঝিয়ে শুনিয়ে এপিসি-২৫ ও ওয়াটার ক্যানন থেকে নামিয়ে আনে এবং পরিবেশ পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করেন। কিন্তু তারা আরও ক্ষিপ্ত হয়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে পানির বোতল, টেপটেনিস বল ও ইটের টুকরো ছুড়ে মারেন। যাতে অনেক পুলিশ সদস্য আঘাতপ্রাপ্ত হন।
একপর্যায়ে অজ্ঞাতনামা ছাত্ররা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে থেকে শাহবাগের আন্দোলনে যোগদান করে বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে বারডেম হাসপাতালের গেটের ব্যারিকেড ভেঙে পুলিশকে আহত করেন এবং বিভিন্নস্থানে দৌড়াদৌড়ি করে সেখানে অবস্থান নেন ও পুলিশকে উদ্দেশ করে বিভিন্ন ধরনের অশ্লীল কটূক্তি করতে থাকেন। ছাত্ররা কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদের ওপর হামলা এবং শাহবাগ থানায় ছাত্রদের ধরে নিয়ে গেছে বলে গুজব ছড়িয়ে পরিস্থিতি উত্তপ্ত করার চেষ্টা করে এবং পুলিশকে মারার জন্য তেড়ে আসে ও পুলিশকে বিভিন্ন ভয়ভীতি এবং হুমকি প্রদান করে শাহবাগ মোড় ত্যাগ করেন।