সারাদেশের সার কারখানাগুলোতে চাহিদার বিপরীতে গ্যাসের সংকট থাকলেও সারের কোনো সংকট হবে না বলে জানিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন।
শনিবার (১৩ জুলাই) নরসিংদীর পলাশে এশিয়ার সর্ববৃহৎ ঘোড়াশাল-পলাশ ইউরিয়া সার কারখানার উৎপাদন কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে শিল্পমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
এ সময় শিল্পমন্ত্রী বলেন, চাহিদা অনুযায়ী কারখানাগুলোতে গ্যাস সরবরাহ করে সার উৎপাদনের মাধ্যমে কৃষকের সারের চাহিদা মেটানো হবে। এ লক্ষ্যে অচিরেই ভোলায় একটি নতুন সার কারখানা স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেন, সারা দেশেই গ্যাসসহ জ্বালানি সংকট রয়েছে। সেসব বাঁধা পেরিয়ে কৃষকদের চাহিদা অনুযায়ী সার সরবরাহ করতে সরকার বদ্ধপরিকর । এই মুহূর্তে গ্যাস সংকট নেই এবং কারখানাটি শতভাগ উৎপাদনে রয়েছে। গ্যাসের পর্যাপ্ত সরবরাহ পেলে একটানা শতভাগ উৎপাদন সম্ভব। এছাড়া সৌদি আরবেও একটি সারকারখানা চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। বর্তমানে আমদানি করতে হলেও অচিরেই সার উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ হবে বাংলাদেশ।
পরিদর্শন শেষে সার কারখানার ভিআইপি অতিথি সম্মেলন কক্ষে সার কারখানার নির্মাণকারী ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এমএইচআই ও সিসি সেভেনসহ সার কারখানার কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন মন্ত্রী। বিসিআইসির চেয়ারম্যান সাইদুর রহমানের সভাপতিত্বে এসময় উপস্থিত ছিলেন নরসিংদী-২ (পলাশ) আসনের সংসদ সদস্য ডা. আনোয়ারুল আশরাফ খান দিলীপ, সংরক্ষিত সংসদ সদস্য মাসুদা সিদ্দিক রোজী, শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জাকিয়া সুলতানা প্রমুখ।
গত বছরের ১২ নভেম্বর সার কারখানাটির উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর গ্যাস সংকটসহ নানাবিধ কারিগরি জটিলতায় শতভাগ উৎপাদনে যেতে পারেনি দক্ষিণ এশিয়ার সর্ববৃহৎ এ কারখানাটি। সর্বোচ্চ ৭০ শতাংশ পর্যন্ত উৎপাদন সম্ভব হয়। উদ্বোধনের ৭ মাসের মাথায় ঘোড়াশাল-পলাশ ইউরিয়া সারকারখানায় শতভাগ উৎপাদন শুরু হয়েছে। শতভাগ উৎপাদনে দৈনিক ২৮০০ মেট্রিক টন এবং বছরে ১০ লাখ মেট্রিক টন সার পাওয়া যাবে কারখানাটি থেকে।