Published : Friday, 12 July, 2024 at 8:41 PM, Update: 12.07.2024 8:45:25 PM
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় আইনমন্ত্রী আনিসুল হককে ফুল দিতে গিয়ে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উপজেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান মো. মনির হোসেনসহ উভয় পক্ষের কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
শুক্রবার (১২ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আখাউড়া রেলওয়ে জংশন স্টেশনের বাইরে এ ঘটনা ঘটে।
এদিন সকাল ১০টার দিকে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ঢাকা থেকে ট্রেনযোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া নামেন। এরপর তিনি গাড়িবহর নিয়ে নিজ উপজেলা কসবায় রওনা দেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, মন্ত্রী চলে যাওয়ার পর মেয়র কাজলের কয়েকজন কর্মী-সমর্থক উপজেলা চেয়ারম্যান মনির হোসেনের সমর্থকদের ওপর লাঠিসোটা নিয়ে হামলা করে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক আহ্বায়ক মো. মনির হোসেন সম্প্রতি উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। নির্বাচনের পর আজই প্রথমবারের মতো নিজ নির্বাচনী এলাকায় আসেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
মন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে চেয়ারম্যান মনির হোসেন শোডাউন দেন। এদিকে মেয়র তাকজিল খলিফা কাজলও দলবল নিয়ে সেখানে হাজির হন।
আইনমন্ত্রী ট্রেন থেকে আখাউড়া রেলওয়ে জংশন স্টেশন প্লাটফর্মে নামার পর চেয়ারম্যান মনির হোসেন ফুলের তোড়া দেওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিলে তাকজিল খলিফা কাজলের ভাই ফোরকান খলিফা তাকে উদ্দেশ্য করে কটূক্তি করেন।
মনির হোসেন স্টেশনের প্রবেশ গেট অতিক্রম করে ফিরে আসার সময় মেয়র তাকজিল খলিফা কাজল, পরাজিত উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. মুরাদ হোসেন ভূঁইয়া এবং উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের নবনির্বাচিত ভাইস চেয়ারম্যান শাহাবউদ্দিন বেগ শাপলুর নেতৃত্বে একদল কর্মী-সমর্থক চেয়ারম্যান মনির ও উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাখাওয়াত হোসেন নয়নের ওপর হামলা চালায়।
চেয়ারম্যান মনির এ সময় পাশের একটি মার্কেটে ঢুকে আত্মরক্ষা করেন। পরে সেখানে থাকা উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাখাওয়াত হোসেন নয়নসহ কয়েকজনের ওপর হামলা হয়। এ সময় রেলওয়ে স্টেশন ও সড়ক বাজার এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
হামলার শিকার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মনির হোসেন বলেন, উপজেলা নির্বাচনে পরাজয়ের প্রতিশোধ নিতে পরিকল্পিতভাবে এ হামলা চালানো হয়েছে। আমরা এ ঘটনার বিষয়ে আইনমন্ত্রীর কাছে প্রতিকার দাবি করেছি। মন্ত্রী এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন।
জানতে চাইলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন বলেন, 'ঘটনাটি তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশ নিয়ন্ত্রণ করেছে। ফলে বড় ধরনের কিছু ঘটেনি। যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনার বিষয়ে পুলিশ তৎপর রয়েছে।
এদিকে দলীয় নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের বিষয়ে আইনমন্ত্রী দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, 'বিষয়টি নিয়ে তিনি উভয় পক্ষের সঙ্গে বসে সুরাহা করবেন।'