ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় জাতিসংঘ পরিচালিত একটি স্কুলে হামলা চালিয়েছে দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী। এ হামলায় অন্তত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছে অন্তত আরও ৭৫ জন।।
রোববার (০৭ জুলাই) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা। জাতিসংঘ পরিচালিত স্কুলটি আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছিল এবং সেখানে বহু মানুষ আশ্রয় নিয়েছিলেন।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, উপত্যকার মধ্যাঞ্চলের নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরের আল–জাউনি বিদ্যালয়ে এই হামলার ঘটনা ঘটেছে। হামলায় অন্তত ১৬ জন নিহত হওয়ার পাশাপাশি ৭৫ জনেরও বেশি লোক আহত হয়েছেন।
এদিকে ইসরায়েলি ডিফেন্স ফোর্স (আইডিএফ) বলছে, আল-জাউনি বিদ্যালয় এলাকায় অবস্থিত একটি স্থাপনায় কর্মরত বেশ কয়েকজন 'সন্ত্রাসীকে' লক্ষ্য করে এ হামলা চালানো হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বিবিসিকে জানিয়েছে, একটি ব্যস্ত বাজারের কাছে অবস্থিত ওই স্কুল লক্ষ্য করে সরাসরি হামলা চালানো হয়েছে। বেসামরিক নাগরিক, শিশু এবং নারীদের লক্ষ্য করে চালানো এ হামলার নিন্দা জানিয়েছে গাজা কর্তৃপক্ষ।
মধ্য গাজার নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরের আল-জাউনি স্কুলটি ফিলিস্তিনি উদ্বাস্তুদের জন্য জাতিসংঘের সংস্থা (ইউএনআরডব্লিউএ)-এর মাধ্যমে পরিচালিত হতো। যুদ্ধ শুরুর পর অন্তত সাত হাজার মানুষ ওই স্কুল ভবনে আশ্রয় নিয়েছে।
গেলো বছরের অক্টোবর মাসের ৭ তারিখে ইসরায়েলে এই দশকের সবচেয়ে বড় সামরিক অভিযান চালায় গাজার হামাস সরকার। এর পরপরই গাজায় বিমান হামলা ও স্থল হামলা শুরু করে ইসরায়েল।
ইসরায়েলি আগ্রাসনে এখন পর্যন্ত ৪০ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু। আহত হয়েছেন এক লাখের বেশি মানুষ। এছাড়াও নিখোঁজ রয়েছেন কয়েক হাজার গাজাবাসী।
এ গণহত্যা বন্ধের আহবান জানিয়ে জাতিসংঘ বলছে, ইসরায়েলি আক্রমণের ফলে গাজার জনসংখ্যার ৮৫ শতাংশ খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি এবং ওষুধের তীব্র সংকটের মধ্যে অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত হয়েছে। গাজার ৭০ শতাংশ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে।
সংস্থাটি সতর্ক করে বলেছে, গাজার ২২ লাখ অধিবাসী দুর্ভিক্ষের ভয়াবহ ঝুঁকিতে রয়েছে। দ্রুত ত্রাণ পৌঁছাতে না পারলে বিশ্বকে জবাবদিহি করতে হবে।