টানা বৃষ্টি ও উজানের ঢলে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় গাইবান্ধার চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চলের ৬৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠদান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
শুক্রবার (৫ জুলাই) জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. শহীদুল ইসলাম এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, গাইবান্ধা সদরে ১৭টি, ফুলছড়িতে ১৫টি, সাঘাটায় ২২টি ও সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় ১২টি প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, টানা বৃষ্টি ও উজানের ঢলে জেলার চার উপজেলার নিম্নাঞ্চলের ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাটসহ বেশকিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বন্যার পানি ঢুকে পড়েছে।
এ অবস্থায় শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা কেউই স্কুলে আসতে পারছেন না। এমন ৬৬টি স্কুলের পাঠদান বন্ধ রাখা হয়েছে। বন্যার পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে এ সব স্কুলে পাঠদান শুরু করা হবে।
তিনি জানান, জেলায় মোট ৭০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পানি উঠেছে। তার ৬৬টিতে পাঠদান বন্ধ ও ৪টির বড় ধরণের ক্ষতি হয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে ১৫টি স্কুল। এ ছাড়া নদী ভাঙনের শিকার হয়েছে ৭টি। এর সংখ্যা আরো বাড়তে পারে।
কয়েকদিন ধরেই নদ-নদীর পানি বেড়ে প্লাবিত হয়েছে গাইবান্ধার চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকা। গাইবান্ধা সদর, সুন্দরগঞ্জ, ফুলছড়ি ও সাঘাটা উপজেলার ২০টি ইউনিয়নে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে অন্তত ৩০ হাজার মানুষ। তলিয়ে গেছে বিস্তীর্ণ এলাকার পাট, বাদাম ও শাক-সবজিসহ বিভিন্ন ফসল। কাঁচা রাস্তা তলিয়ে গেছে। শিশু-বৃদ্ধসহ গবাদি পশু নিয়ে বিপাকে পড়েছেন ভুক্তভোগীরা।
গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টায় ব্রহ্মপুত্র নদের পানি জেলার ফুলছড়ি উপজেলার তিস্তামুখ পয়েন্টে বিপৎসীমার ৮৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এ ছাড়াও ঘাঘট নদীর পানি জেলা শহরের নতুন ব্রিজ পয়েন্টে বিপৎসীমার ৩৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অন্যদিকে কাউনিয়া পয়েন্টে তিস্তা ও চকরহিমাপুর পয়েন্টে করতোয়া নদীর পানি এখন বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।