ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে গত দুই সপ্তাহে ভারী বৃষ্টির কারণে সৃষ্ট বন্যা ও ভূমিধসে কমপক্ষে ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।
মঙ্গলবার (২ জুলাই) কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বন্যায় ঘরবাড়ি হারিয়ে বাস্তুচ্যুত হয়েছেন ৩ লাখের বেশি মানুষ। মার্কিন বার্তা সংস্থা এপি এ খবর জানিয়েছে।
সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত রাজ্যগুলোর মধ্যে একটি আসামে উদ্ধার প্রচেষ্টায় সহায়তা করছে ভারতের সেনাবাহিনী ও বিমান বাহিনী। ব্রহ্মপুত্রের একটি ছোট দ্বীপে চার দিন আটকে থাকার পর, মঙ্গলবার ভোরে ১৩ জেলেকে সামরিক হেলিকপ্টারে করে নিরাপদ স্থানে নিয়ে আসা হয়েছে।
বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হওয়ার আগে ব্রহ্মপুত্র নদী আসামে প্রায় ৮০০ মাইলজুড়ে প্রবাহিত হয়। জুন-সেপ্টেম্বর, বর্ষা মৌসুমে প্রতিবছরই এই নদীর পানি উপচে আসামে বন্যা দেখা দেয়। নয়াদিল্লি-ভিত্তিক জলবায়ু সংক্রান্ত কাউন্সিল অন এনার্জি, এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড ওয়াটার ২০২১ সালের রিপোর্ট অনুসারে, জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য আসামকে বিশ্বের অন্যতম ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চল হিসাবে দেখা হয়।
এছাড়া প্রতিবেশী চীনের সীমান্তবর্তী অরুণাচল প্রদেশে ভূমিধসে বেশ কয়েকটি রাস্তা বিধ্বস্ত হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, এখানকার চাংলাং জেলার একটি স্কুল থেকে ৭০ জন ছাত্র ও শিক্ষককে উদ্ধার করেছে সেনারা। একইভাবে সিকিম, মণিপুর ও মেঘালয় রাজ্যেও প্রবল বন্যায় রাস্তাঘাট ডুবে গেছে ও সেতু ভেঙে পড়েছে।
সরকারি পরিসংখ্যান অনুসারে, বৃষ্টির কারণে বন্যা ও ধসের কারণে মে মাসের শেষ থেকে এ পর্যন্ত ছয়টি রাজ্যে ৮০ জনের বেশি মানুষ মারা গেছে।