Desh Sangbad
Desh Sangbad
শিরোনাম: ■ ছাগলকাণ্ডে আলোচিত সেই মতিউর ও তার স্ত্রী গ্রেপ্তার ■ অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়াসহ সবাই খালাস ■ আজ মুক্তি পাচ্ছেন লুৎফুজ্জামান বাবর ■ ঘোষণাপত্র নিয়ে রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠক বৃহস্পতিবার ■ এডিপি বাস্তবায়ন ১৭ দশমিক ৯৭ শতাংশ ■ বাড়ল এলপি গ্যাসের দাম ■ অবৈধ বিদেশিদের আবারও সতর্ক করলো সরকার
২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট পাস হচ্ছে আজ
Published : Sunday, 30 June, 2024 at 8:55 AM, Update: 30.06.2024 2:41:59 PM

২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট পাস হচ্ছে আজ

২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট পাস হচ্ছে আজ

কালোটাকা সাদা করার সুযোগ দিয়ে আজ রোববার (৩০ জুন) জাতীয় সংসদে পাস হচ্ছে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট। ‘সুখী, সমৃদ্ধ, উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে অঙ্গীকার’ স্লোগান নিয়ে এবারের বাজেটের আকার ধরা হয়েছে ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা। দেশের ৫৩তম এই বাজেটের আকার বাড়ছে ৪ দশমিক ৬ শতাংশ।

শনিবার সন্ধ্যায় জাতীয় সংসদে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী তার বক্তব্যে এবারের বাজেটে কিছু নীতি সংশোধনের প্রস্তাব তুলে ধরেন। পরে সংসদ সদস্যদের কণ্ঠভোটে পাস হয় অর্থবিল।

এবারের বাজেটে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের বিনিয়োগে কর অব্যাহতির সুবিধা বহাল থাকছে। একই সাথে ব্যক্তি শ্রেণির সর্বোচ্চ আয়কর ৩০ শতাংশের বদলে ২৫ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়েছে। এর বাইরে, বড় কোনো পরিবর্তন আনা হয়নি।

অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, প্রস্তাবিত বাজেটে ছোটখাটো দু-একটি বিষয় ছাড়া তেমন কোনো বড় সংশোধনীর সম্ভাবনা নেই। তবে এবারের বাজেটে উত্থাপিত প্রস্তাবগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আলোচনায় এসেছে ১৫ শতাংশ কর দিয়ে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দেওয়ার বিষয়টি। এটি নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা হলেও এ প্রস্তাবে কোনো পরিবর্তন আনা হবে না। এ ছাড়া বাজেট প্রস্তাবে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের ওপর ক্যাপিটাল গেইন ট্যাক্স বসানোর কথা বলেছিলেন অর্থমন্ত্রী। এতে বিনিয়োগকারীদের পক্ষ থেকে বিভিন্ন আপত্তি থাকলেও তা আমলে নেয়া হচ্ছে না। সংশোধনী বাজেটে আগের মতোই ৫০ লাখ টাকা লাভের ওপর কর আরোপের সিদ্ধান্ত অব্যাহত থাকতে পারে।

সূত্রে আরও জানা গেছে, নতুন অর্থ বিলে আয়কর ও কাস্টমস সংক্রান্ত সামান্য কিছু পরিবর্তন আসতে যাচ্ছে। বিশেষ করে দেশি-বিদেশি উদ্যোক্তাদের চাপে বেসরকারি অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং হাই-টেক পার্কগুলোর কর অবকাশ প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। অর্থাৎ এসব অঞ্চল ও পার্কের কর অবকাশ সুবিধা আগের মতোই বহাল থাকছে।

একই সঙ্গে অর্থনৈতিক অঞ্চলে স্থাপিত শিল্পের মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানি শুল্কও আগের মতো শূন্য শতাংশ রাখা হচ্ছে। এ ছাড়া প্রস্তাবিত বাজেটে বেসরকারি অর্থনৈতিক অঞ্চল নির্মাণ বা উন্নয়নের জন্য ডেভেলপারদের আমদানি করা যন্ত্রপাতির শুল্কমুক্ত সুবিধা বাতিল করে ১ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়। শিল্প স্থাপনের মূলধনী যন্ত্রপাতিতেও ১ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়। পাশাপাশি বিনিয়োগকারীদের জন্য শুল্কমুক্ত গাড়ি আমদানির সুবিধা বাতিল করা হয়।

বাজেট উত্থাপনের সময় সংসদ সদস্যদের গাড়ি আমদানিতে শুল্ক আরোপের প্রস্তাব করেছিলেন অর্থমন্ত্রী। এরপর এমপিদের শুল্কমুক্ত গাড়ি আমদানির সুবিধা প্রত্যাহার নিয়ে জল কম ঘোলা হয়নি। নানান জল্পনা কল্পনা শেষে সংসদ সদস্যদের গাড়ি আমদানিতে ৪০ শতাংশ কর বসানোর প্রস্তাব করা হয় ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে। তবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, শেষ পর্যন্ত এই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসতে পারে সরকার। এ ছাড়া কর অবকাশ সুবিধার পাশাপাশি শর্ত সাপেক্ষে ইকোনমিক জোন ও হাইটেক পার্কের বিনিয়োগকারীদের ক্যাপিটাল মেশিনারি আমদানিতে আগের মতোই জিরো ডিউটি সুবিধা বহাল থাকতে পারে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আইনি জটিলতায় এ পদক্ষেপ থেকে সরে আসতে পারে সরকার। কেননা সংসদ সদস্যদের গাড়ি আমদানিতে বিদ্যমান আদেশ সংশোধনের কোনো উদ্যোগ এখন পর্যন্ত নেওয়া হয়নি। ফলে আগের মতো এবারও এমপিরা শুল্কমুক্ত কর সুবিধা ভোগ করতে পারেন।

এনবিআর সূত্র জানায়, সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এসব বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম। এ সময় প্রধানমন্ত্রী কিছু দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। পরে গত মঙ্গলবার বাজেট সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়েছেন এনবিআর চেয়ারম্যান।

একনজরে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট

২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। এ বাজেটে অনুদান ছাড়া ঘাটতি ধরা হয়েছে ২ লাখ ৫৬ হাজার টাকা। গত ৬ জুন জাতীয় সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাব তুলে ধরেন অর্থমন্ত্রী। অর্থমন্ত্রী হিসেবে আবুল হাসান মাহমুদ আলীর এটা প্রথম বাজেট।

মূল্যস্ফীতির বড় চাপের মধ্যে অর্থমন্ত্রী এই বাজেট প্রস্তাব উত্থাপন করলেন। মূল্যস্ফীতি ১০ শতাংশ ছুঁই ছুঁই। এ পরিস্থিতিতে আগামী অর্থবছরে মূল্যস্ফীতি সাড়ে ৬ শতাংশ থাকবে বলে আশা করছেন অর্থমন্ত্রী। চলতি অর্থবছরের বাজেটেও মূল্যস্ফীতির লক্ষ্যমাত্রা সাড়ে ৬ শতাংশ ছিল।

মূল্যস্ফীতি সাড়ে ৬ শতাংশে নামিয়ে আনার আশার বাণী শোনার পাশাপাশি আগামী অর্থবছরের জিডিপির প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ৬ দশমিক ৭৫ শতাংশ ধরা হয়েছে। চলতি অর্থবছরের বাজেটে জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা সাড়ে ৭ শতাংশ ধরা হয়, পরবর্তী সময়ে তা কমিয়ে করা হয় সাড়ে ৬ শতাংশ।

মূল্যস্ফীতি কমিয়ে বড় প্রবৃদ্ধির আশাবাদ ব্যক্ত করে অর্থমন্ত্রী যে বাজেট প্রস্তাব উত্থাপন করেছেন সেখানে অনুদান ছাড়া ঘাটতি ধরা হয়েছে ২ লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা। অনুদানসহ সামগ্রিক ঘাটতি ধরা হয়েছে ২ লাখ ৫১ হাজার ৬০০ কোটি টাকা। এ ছাড়া ৪ হাজার ৪০০ কোটি টাকা অনুদান পাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে।

এই ঘাটতি মেটাতে বৈদেশিক ঋণের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১ লাখ ২৭ হাজার ২০০ কোটি টাকা। বৈদেশিক ঋণ পরিশোধ করা হবে ৩৬ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। এতে নিট বৈদেশিক ঋণ দাঁড়াবে ৯০ হাজার ৭০০ কোটি টাকা।

আর অভ্যন্তরীণ ঋণ নেয়া হবে ১ লাখ ৬০ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে নেয়া হবে ১ লাখ ৩৭ হাজার ৫০০ কোটি, যার ৭২ হাজার ৬৮২ কোটি টাকা দীর্ঘমেয়াদি ঋণ এবং ৬৪ হাজার ৮১৮ কোটি টাকা স্বল্পমেয়াদি ঋণ। ব্যাংকবহির্ভূত ঋণ নেয়া হবে ২৩ হাজার ৪০০ কোটি টাকা। সঞ্চয়পত্র বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হচ্ছে ১৫ হাজার ৪০০ কোটি টাকা।

প্রস্তাবিত বাজেটে ঋণের সুদ পরিশোধের ব্যয় ধরা হয়েছে ১ লাখ ১৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। এর মধ্যে অভ্যন্তরীণ ঋণের সুদ ৯৩ হাজার কোটি টাকা। আর বৈদেশিক ঋণের সুদ ২০ হাজার ৫০০ কোটি টাকা।

এবার রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৫ লাখ ৪১ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) লক্ষ্যমাত্রা ৪ লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকা। এনবিআর বহির্ভূত কর ধরা হয়েছে ১৫ হাজার কোটি টাকা। আর কর ব্যতীত প্রাপ্তির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৪৬ হাজার কোটি টাকা।

প্রস্তাবিত বাজেটে পরিচালন ব্যয় ধরা হয়েছে ৫ লাখ ৬ হাজার ৯৭১ কোটি টাকা। পরিচালন ব্যয়ের মধ্যে আবর্তক ব্যয় ৪ লাখ ৬৮ হাজার ৯৮৩ কোটি টাকা। আর দেশি-বিদেশি ঋণের সুদ পরিশোধ ১ লাখ ১৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। এবার মূলধন ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৭ হাজার ৯৮৯ কোটি টাকা।

প্রস্তাবিত বাজেটে উন্নয়ন ব্যয় ধরা হয়েছে ২ লাখ ৮১ হাজার ৪৫০ কোটি টাকা। এর মধ্যে স্কিমে ব্যয় হবে ৫ হাজার ৯৪৩ কোটি টাকা। এডিপিবহির্ভূত বিশেষ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৭ হাজার ৬২৭ কোটি টাকা। বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে ব্যয় ধরা হয়েছে ২ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকা। আর কাজের বিনিময়ে খাদ্য কর্মসূচি (এডিপিবহির্ভূত) ও স্থানান্তরে ২ হাজার ৮৮৪ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে।

দেশ সংবাদ/এসএইচ


আপনার মতামত দিন
এডিপি বাস্তবায়ন ১৭ দশমিক ৯৭ শতাংশ
নিজস্ব প্রতিবেদক
Tuesday, 14 January, 2025
বাড়ল এলপি গ্যাসের দাম
নিজস্ব প্রতিবেদক
Tuesday, 14 January, 2025
বিশ্ববাজারে বাড়ল জ্বালানি তেলের দাম
বাণিজ্য ডেস্ক
Monday, 13 January, 2025
টিসিবির ৩৭ লাখ দ্বৈতকার্ড বাতিল
নিজস্ব প্রতিবেদক
Thursday, 9 January, 2025
যেসব পণ্যে কর দ্বিগুণ করলো সরকার
নিজস্ব প্রতিবেদক
Wednesday, 8 January, 2025
আরো খবর
সর্বশেষ সংবাদ
আরো খবর >>
https://deshsangbad.com/ad/1699508455_1491666999_th.jpg
সর্বাধিক পঠিত
ফেসবুকে আমরা
সম্পাদক
এফ. হোসাইন
উপদেষ্টা সম্পাদক
ব্রি. জে. (অব.) আবদুস সবুর মিঞা
ঠিকানা
৮০২ ভিআইপি রোড, কাকরাইল
ঢাকা-১০০০, বাংলাদেশ।
Developed & Maintenance by i2soft
যোগাযোগ
ফোন: +৮৮ ০২ ৪৮৩১১১০১-২
মোবাইল: +৮৮ ০১৭১৩ ৬০১৭২৯
ইমেইল: [email protected]
up