চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিবাদমান দুটি গ্রুপের বিরোধ সংঘর্ষে রূপ নিয়েছে। ওই বিরোধকে কেন্দ্র করে অতর্কিত বোমা হামলা ও গুলিতে আওয়ামী লীগের এক নেতা ও তার সহযোগী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও একজন। তাকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ( ২৭ জুন) রাত আটটার দিকে জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার নয়ালাভাঙ্গা ইউনিয়নের রানিহাটি কলেজ মোড়ে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- জেলা পরিষদ সদস্য ও উপজেলার নয়ালাভাঙ্গা ইউনিয়নের আওয়ামী লীগেরসাধারন সম্পাদক আব্দুস সালাম (৫২)। তিনি ওই ইউপির মোড়লটোলা গ্রামের ইত্তাজ আলীর ছেলে। অপরজন তার সহযোগী আ. মতিন। তিনি একই ইউনিয়নের ফতেপুর গ্রামে আব্দুল মান্নানের ছেলে।
ঘটনার পরপরই নিহতের সমর্থকরা রাস্তায় ব্যারিকেট দিয়ে ও আগুন জালিয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-সোনামসজিদ অবরোধ করে বিক্ষোভ করতে থাকে। এতে আটকা পড়ে শতাধিক যান। পরে পুলিশ এসে তাদের সড়ক থেকে সরিয়ে দেয়।
স্থানীয় ব্যক্তিদের বরাত দিয়ে শিবগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ সাজ্জাদ হোসেন বলেন, রাত সাড়ে আটটার দিকে রানিহাটি কলেজের সামনে আশ্রয়ণ প্রকল্পের কাছে একটি চায়ের দোকানের সামনে বসে ছিলেন আবদুস সালামসহ তার সঙ্গীরা। এ সময় হঠাৎ দুর্বৃত্তরা ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। পাশাপাশি গুলি চালালে ঘটনাস্থলেই নিহত হন সালাম। গুলিবিদ্ধ হন মতিন। এ সময় গুরুতর আহত অবস্থায় আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দা আফসার আলীসহ অন্যরা মতিনকে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পুলিশ সুপার ঘটনার পরপরই সদর হাসপাতাল এবং পরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং হত্যার বিচারের আশ্বাস দেন। তবে এ ঘটনায় কাউকে আটক করা যায়নি।
এর আগে আওয়ামী লীগ নেতা আ. সালামের গাড়িতে হামলা হয়েছিল। এর কয়েক মাস পর অতর্কিত হামলায় এক সহযোগীসহ প্রাণ হারালেন তিনি।