Published : Wednesday, 26 June, 2024 at 1:15 PM, Update: 27.06.2024 8:09:06 PM
বগুড়া জেলা কারাগারের কনডেম সেলের ছাদ ফুটো করে পালানো মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত চার ফাঁসির আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (২৫ জুন) দিবাগত রাত তিনটার দিকে বগুড়া কারাগারের ছাদ ফুটো করে এবং বেডশিটকে সিঁড়ি হিসেবে ব্যবহার করে প্রাচীর টপকে পালান। পরে বুধবার (২৬ জুন) ভোর ৪টার দিকে শহরের চেলোপাড়া চাষি বাজারের সামনে থেকে তাদেরকে আবারও গ্রেপ্তার কররে পুলিশ।
বগুড়ার পুলিশ সুপার (এসপি) সুদীপ কুমার চক্রবর্তী গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
কারাগার থেকে পালানো মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত চার কয়েদি হলেন— কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারী উপজেলার দিয়াডাঙ্গা এলাকার নজরুল ইসলাম ওরফে মঞ্জুর (কয়েদি নম্বর-৯৯৮), নরসিংদীর মাধবদী উপজেলার ফজরকান্দি এলাকার আমির হামজা (কয়েদি নম্বর-৫১০৫), বগুড়ার কাহালু পৌরসভার মেয়র আবদুল মান্নানের ছেলে মো. জাকারিয়া (কয়েদি নম্বর-৩৬৮৫) এবং বগুড়ার কুটুরবাড়ি পশ্চিমপাড়া এলাকার ফরিদ শেখ (কয়েদি নম্বর-৪২৫২)।
পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার দিবাগত রাত ৩টা ৫৬ মিনিটে খবর আসে বগুড়া জেলা কারাগার থেকে চারজন মৃত্যুদণ্ড সাজাপ্রাপ্ত আসামি পালিয়ে গেছে। এই খবর পাওয়া মাত্র বগুড়া সদর থানা ও ফাঁড়ির পুলিশ তৎপর হয়ে ওঠে। তারা শহরের বিভিন্নস্থানে একাধিক অভিযান পরিচালনা শুরু করে।
অভিযানের এক পর্যায়ে ভোর ৪টা ১০ মিনিটের দিকে সদরবাড়ীর উপ-পরিদর্শক (এসআই) খোরশেদ আলম শহরের চেলোপাড়ায় করতোয়া নদীর পাড়ে চাষি বাজার থেকে চারজনকে আটক করেন। পরে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে নিশ্চিত হওয়া যায় এই চারজনই কারাগার থেকে পালানো সেই চার আসামি। এরপর তাদেরকে ডিবি অফিসে নিয়ে আসা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে জেলা পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী বলেন, পৃথক মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত চার আসামি একই কনডেম সেলে ছিলেন। সেখানে থেকেই তারা পালানোর পরিকল্পনা করেন। ঘটনার রাতে তারা নিজেদের বিছানার চাদর ছিড়ে দড়ি বানান। এরপর কৌশলে কারাগারের ছাদ ফুটো করে সেলের বাইরে বের হন। আগে থেকে বানানো বিছানার চাদরের দড়ি দিয়ে কারাগারের বিল্ডিং থেকে নিচে নামেন। এরপর কারাগারের পূর্ব পাশে করতোয়া নদীর ব্রিজের নিচে দিয়ে ওই চারজন পালিয়ে যান।
জেলা পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী বলেন, ঘটনা জানা মাত্রই খুব দ্রুততম সময়ে আমাদের পুলিশ সদস্যরা চার আসামিকে আটক করতে সক্ষম হন। এখন তাদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হবে।