ট্যাক্স বা কর বাড়ানোর প্রতিবাদে কেনিয়ার পার্লামেন্ট ভবনে আগুন দিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা। এসময় পুলিশের গুলিতে অন্তত ১০ জন বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অর্ধশতাধিক।
মঙ্গলবার (২৫ জুন) কেনিয়ার রাজধানী নাইরোবিতে কাঁদানে গ্যাস ও জলকামান ব্যবহার করে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে ব্যর্থ হওয়ার পর পুলিশ গুলি চালালে হতাহতের এ ঘটনা ঘটে।
রয়টার্সের এক সাংবাদিক জানান, তিনি পার্লামেন্ট ভবনের বাইরে অন্তত পাঁচজন বিক্ষোভকারীর মরদেহ দেখতে পেয়েছেন। তবে তাদের পরিচয় নিশ্চিত করা যায়নি।
সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান জানায়, কর বাড়ানোর ওপর এদিন সংসদে একটি আইন পাস করার সময় বিক্ষোভকারীরা সংসদের বাইরে তার প্রতিবাদ জানান। এক পর্যায়ে তারা সংসদের ভেতরে ঢুকে হামলা করার চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের ওপর প্রকাশ্যে গুলিবর্ষণ করে। এতে ১০ জন নিহত হন।
প্রতিবেদনে আরও জানানো হয়, প্রথমে পুলিশ টিয়ারগ্যাস এবং জলকামান দিয়ে হাজার হাজার বিক্ষোভকারীকে ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করে। এতে ব্যর্থ হওয়ার পরে তারা গুলি চালায়। এ সময় ভবনের ভেতর থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখা যায়।
আরও পড়ুন:কেনিয়ায় স্বর্ণের খনি ধসে নিহত ৫
ডেভিস তাফারি নামে একজন বিক্ষোভকারী বলেন, ‘আমরা সংসদ অধিবেশন বন্ধ করতে চাই। কর বাড়ানোর প্রতিবাদে সংসদ সদস্যদের পদত্যাগ করা উচিত। তাহলে আমরা একটি নতুন সরকার পাবো।’
জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধি পাওয়ায় অনেকদিন থেকেই সংকটে ভুগছে কেনিয়ার জনগণ। নতুন করে সরকারের কর বৃদ্ধির সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে বিক্ষোভেও নামেন তারা। তারা প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম রুটোকে পদত্যাগ করার আহ্বান জানান। এছাড়া দেশজুড়ে আরও কয়েকটি শহরেও বিক্ষোভ ও সংঘর্ষ হয়েছে।
কেনিয়ার জনগণ দীর্ঘদিন থেকেই কোভিড মহামারির দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব, ইউক্রেনের যুদ্ধ, পরপর দুই বছরের খরা এবং মুদ্রার অবমূল্যায়নের কারণে সৃষ্ট বেশ কয়েকটি অর্থনৈতিক ধাক্কা সামলাতে লড়াই করছিল।
মঙ্গলবার সংসদ অর্থ বিলটি অনুমোদন করেছে। পরে এটি আইন প্রণেতাদের কাছে পাঠানো হয়। পরবর্তী ধাপে আইনটি স্বাক্ষরের জন্য রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানো হবে। কোনো আপত্তি থাকলে তিনি তা সংসদে ফেরত পাঠাতে পারেন।