এদিন নাকে চোটের কারণে খেলেননি কিলিয়ান এমবাপ্পে। তার অভাব গোটা ম্যাচেই অনুভব করেছে ফ্রান্স। বেশ কিছু ভালো গোলের সুযোগ তৈরি করেছিল তারা। কিন্তু সেগুলো গোলবারের দেখা পায়নি। আর নেদারল্যান্ডসের একটি গোল বাতিল হয় অফসাইডের কারণে।
এমবাপ্পের মতো স্ট্রাইকার না থাকায় ফ্রান্সের গোল করার লোকের অভাব স্পষ্ট টের পাওয়া যাচ্ছিল। গ্রিজম্যান খেলা তৈরি করলেও থুরামকে দিয়ে গোল করাতে পারছিলেন না। সহজ একটি ফ্রিকিকের সুযোগ নষ্ট করেন তিনি। কর্নার থেকেও বলার মতো কোনো আক্রমণ ফ্রান্স তৈরি করতে পারেনি।
দ্বিতীয়ার্ধে ফ্রান্স আবার ভালো সুযোগ পেয়েছিল ৬৫ মিনিটের মাথায়। অরেলিয়েঁ চুয়ামেনি বল বাড়িয়েছিলেন থুরামকে। থুরাম ব্যাক হিল করে বল দেন ওসমানে দেম্বেলেকে। এরপর এনগোলো কান্তে ঘুরে বল যায় গ্রিজম্যানের কাছে। গোলের থেকে কয়েক ইঞ্চি দূরে থাকা গ্রিজম্যান বল বাঁ পায়ে রিসিভ করে বাঁ পায়েই শট মারতে যান। সেই শটে মোটেই জোর ছিল। ডাচ কিপার বার্ট ভারব্রুগেনের পায়ে লেগে তা কর্নার হয়ে যায়।
এদিকে, দ্বিতীয়ার্ধে এগিয়ে যেতে পারত নেদারল্যান্ডসও। দুর্ভাগ্য তাদেরও। জাভি সিমন্স বল ফ্রান্সের জালে পাঠানোর পর সেটা বাতিল হয়ে যায় অফসাইডের কারণে। সিদ্ধান্তটা অবশ্য বিতর্কিত মনে হয়েছে। তবে গোল নষ্ট করার মহড়া আর বিতর্কিত অফসাইডের সিদ্ধান্তে শেষ পর্যন্ত ফ্রান্স-নেদারল্যান্ডস ম্যাচটা ড্র হয়।
দুই দলের সামনেই সুযোগ ছিল শেষ ষোলোয় খেলা নিশ্চিত করার, পারল না কেউই। দুই রাউন্ড শেষে একটি করে জয় ও ড্রয়ে সমান ৪ পয়েন্ট ফ্রান্স ও নেদারল্যান্ডসের। ৩ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে অস্ট্রিয়া। পোলিশরা এখনো পারেনি পয়েন্টের খাতা খুলতে।
গ্রুপের শেষ রাউন্ডে আগামী মঙ্গলবার একই সময়ে মাঠে নামবে দুই দল, ফ্রান্স খেলবে পোল্যান্ডের বিপক্ষে আর নেদারল্যান্ডস লড়বে অস্ট্রিয়ার সঙ্গে।