Published : Friday, 21 June, 2024 at 11:37 PM, Update: 22.06.2024 7:12:00 AM
চলতি বছরের সবচেয়ে ছোট রাত চলেছে। তবে ২১ জুনে দিনটি ছিল বছরের সবচেয়ে বড়। আবহাওয়া অফিস বলছে, শুক্রবার দিন ছিল ১৩ ঘণ্টা ৩৭ মিনিট। এদিন সূর্য অস্ত গেছে সন্ধ্যা ছয়টা ৪৮ মিনিটে। আর ঢাকায় শনিবার সূর্য উদয় হবে ভোর পাঁচটা ১২ মিনিটে।
বছরে কখনো দিন ছোট হয় এবং রাত বড় হয়, আবার কখনও দিন বড় হয় এবং রাত ছোট হয়। ঠিক এমনভাবেই, বছরে এমন একটি দিন আসে, যাকে সবচেয়ে বড় দিন এবং রাত সবচেয়ে ছোট হিসেবে ধরা হয়। শুক্রবার (২১ জুন) বছরের সবচেয়ে বড় দিন এবং ছোট রাত।
পৃথিবী সাধারণত উত্তর গোলার্ধ ও দক্ষিণ গোলার্ধ এই দুটি ভাগে বিভক্ত। এক গোলার্ধে যে অবস্থা বিরাজ করে প্রকৃতির নিয়ম অনুসারেই তখন অন্য গোলার্ধে বিপরীত অবস্থা বিরাজ করে। আর এই কারণেই পৃথিবীর বার্ষিক গতি চলতে থাকে। যার কারণে পৃথিবীর খতু পরিবর্তিত হয়।
কর্কট আর মকর নামে দুটি ক্রান্তি রেখা পৃথিবীর ওপর দিয়ে চলে গেছে। আর ওদের মধ্যে দিন কতটা বড় হবে সেটা ঠিক করে দেয় কর্কটক্রান্তি রেখা। ওটাকে উত্তরের রেখাও বলা যায়। ২১ জুন সকাল আর সন্ধ্যার সূর্যটা সবচেয়ে বেশি হেলে থাকবে ওই উত্তরেই। আর ঠিক দুপুরবেলা সূর্য থাকবে কর্কটক্রান্তি রেখার একেবারে মাঝ বরাবর।
২১ জুন এটি উত্তর গোলার্ধের সবচেয়ে বড় দিন। আজকের দিনটি কর্কট ক্রান্তি দিবস হিসেবে পরিচিত। এদিনে সূর্য সবচেয়ে বেশি সময় ধরে কিরণ দেয় পৃথিবীর এ অংশে। কর্কট ক্রান্তি রেখা আর মকর ক্রান্তি রেখা দুটির মধ্যে কর্কট ক্রান্তি রেখা দিন কতটা বড় হবে তা নির্ধারণ করে থাকে।
তাই ২১ জুন বছরের দীর্ঘতম দিন। এই ঘটনাটিকে ‘সামার সলসটিস’ বলা হয়। সলসটিস একটি ল্যাটিন শব্দ। মানে সূর্য এবং সিস্টেরার মানে এক জায়গায় দাঁড়িয়ে থাকা। ২১ জুন উত্তর গোলার্ধ সূর্যের সবচেয়ে কাছাকাছি আসে। সূর্যকে ২১ জুন মধ্যগগনে, প্রায় মাথার উপরে দেখা যায়। ২০ থেকে ২৩ জুনের মধ্যে ‘সামার সলসটিস’ হয়ে থাকে।
সলসটিস বছরে দুই বার ঘটে। একবার গ্রীষ্মের মৌসুমে, যখন সূর্যকে উত্তর বা দক্ষিণ মেরু থেকে দেখা যায়, তখন বছরের সবচেয়ে বড় দিন হয় অর্থাৎ ২১ জুন, সূর্যের রশ্মি পৃথিবীতে দীর্ঘ সময় উপস্থিত থাকে। দ্বিতীয়টি ঘটে ২২ ডিসেম্বর। এই দিনটি বছরের সবচেয়ে ছোট দিন এবং দীর্ঘতম রাত। এই দিনে সূর্যের রশ্মি অল্প সময়ের জন্য পৃথিবীতে থাকে। পৃথিবীর নিয়মে উত্তর গোলার্ধে আজকের পর থেকে ছোট হওয়া শুরু করবে দিন, আর রাত হবে বড়।
২৩ সেপ্টেম্বর সূর্য আবার অবস্থান নেয় বিষুব বৃত্তের বিন্দুতে, যেখানে ক্রান্তি বৃত্ত ও বিষুব বৃত্ত পরস্পরকে ছেদ করেছে। একে বলা হয় জলবিষুব বিন্দুতে। এই দিন পুনরায় পৃথিবীর সর্বত্র দিন-রাত সমান হয়ে থাকে।
এরপর থেকেই আবার উত্তর গোলার্ধে ক্রমশ রাত বড় হতে হতে সূর্য পৌছে যায় ক্রান্তি বৃত্তের দক্ষিণ অয়নায়ন বিন্দুতে। এভাবে ২১ ডিসেম্বর তারিখে উত্তর গোলার্ধে হয় দীর্ঘতম রজনী আর ক্ষুদ্রতম দিবস। এ সময় সূর্য মকর বৃত্তে অবস্থান করে থাকে