মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সরকার সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়েছে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। সে লক্ষ্যেই নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানিতে শুল্ক কমানো হয়েছে। এ বছরের শেষের দিকে মূল্যস্ফীতি কমতে শুরু করবে বলে জানান তিনি।
শুক্রবার (০৭ জুন) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনাতয়নে বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
অর্থমন্ত্রী বলেন, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য আরও ৬ মাস অপেক্ষা করতে হবে। এ বছরের শেষের দিকে মূল্যস্ফীতি কমতে শুরু করবে।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, পূঁজিবাজারে অর্জিত লভ্যাংশ ৫০ লাখ টাকার বেশি নগদায়ন করলে কেবল কর দিতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে অর্থ সচিব বলেন, সঞ্চয়পত্রের সুদের হার বেশি বলেই বাজেট ঘাটতি মেটাতে ব্যাংক থেকে ঋণ নেয়া হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে নিজের প্রথম বাজেট পেশ করা অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেন, ‘আপনারা নিশ্চয়ই লক্ষ্য করেছেন বাজেটের আকার আমরা কমিয়ে রেখেছি। যাতে করে মূল্যস্ফীতির ওপর কোনও চাপ না পড়ে।’
মন্ত্রী বলেন, বৈশ্বিক প্রভাব অর্থনীতিতে পড়ার সুযোগ তৈরি হচ্ছে। মূল্যস্ফীতি এখনও ৯ শতাংশের ঘরে রয়েছে। পৃথিবীর কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো সুদের হার বাড়িয়েছে। যার চাপ ডলারে পড়েছে। বৈদেশিক মুদ্রার অবমূল্যায়ন মূল্যস্ফীতির বড় কারণ। আগামী বছরে মূল্যস্ফীতি কমে আসবে। মূল্যস্ফীতি যেহেতু চ্যালেঞ্জ, যে কারণে সংকোচনমূলক নীতি অব্যাহত থাকবে।
এর আগে, বৃহস্পতিবার দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় বাজেট জাতীয় সংসদে উপস্থাপন করা হয়। প্রস্তাবিত এ বাজেটের আকার ধরা হয় ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা। বিশাল অঙ্কের এ বাজেটের ঘাটতি ধরা হচ্ছে ২ লাখ ৫১ হাজার ৬০০ কোটি টাকা। আর অনুদান ছাড়া ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়াবে ২ লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা। যা মোট জিডিপির ৪ দশমিক ৬ শতাংশ।