ভিসা জটিলতা কাটিয়ে অবশেষে কলকাতা যাচ্ছেন ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনারের মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন।
সোমবার (৩ জুন) তিনি ভারতীয় ভিসা পেয়েছেন বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন। এরআগে, হত্যার খবর পেয়ে গত ২২ মে আনারকন্যা ডরিন এবং সংসদ সদস্যের ব্যক্তিগত সহকারী আব্দুর রউফ ভারতের ভিসার জন্য আবেদন করেন।
এদিকে কলকাতার সঞ্জিভা গার্ডেন্সের সেপটিক ট্যাংক থেকে উদ্ধার হওয়া হাড় ও মাংস এমপি আনারের কি না তা পরীক্ষার জন্য ডরিনের ভারতে যাওয়া প্রয়োজন। সেখানে উদ্ধার হওয়া দেহাংশের সঙ্গে ডরিনের ডিএনএ পরীক্ষা করা হবে বলে জানিয়েছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
এরআগে, ২৮ মে ডরিন বলেছিলেন, কলকাতার সঞ্জিভা গার্ডেন্সের ফ্ল্যাটের সেপটিক ট্যাংক থেকে দেহের খণ্ডাংশ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানতে পেরেছি। কিন্তু এই খণ্ডাংশ বাবার কি না তা নিশ্চিত করেনি পুলিশ। এজন্য ডিএনএ টেস্টের স্যাম্পল দিতে কলকাতা পুলিশ ডাকলে সেখানে যাবো।
তিনি তার বাবা হত্যার প্রমাণ চাওয়ার পাশাপাশি হত্যাকারীদের দ্রুত খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। তিনি বলেন, এতদিনে কিছুই মিলছে না, সে কারণে আমার কাছে বিষয়টি অন্যরকম মনে হচ্ছে। নির্দিষ্ট প্রমাণ পেলে এ ধরনের কোনো সন্দেহ আমার থাকবে না। আমার বাবা আসলে গুম, নাকি হত্যা করা হয়েছে, এসব নিয়ে আমার মনের মধ্যে প্রশ্ন জাগছে। হত্যাকারীরা গ্রেফতার হয়েছে। তারা টাকার বিনিময়ে হত্যা করেছে বলেছে। এ ঘটনায় মূল যে আসামি সে কেন বাবাকে হত্যা করলো? তার সঙ্গে আর কেউ আছে কিনা, তাকে কেউ কন্ট্রাক্ট করে এই হত্যা করিয়েছে কিনা, তাকে আইনের আওতায় আনতে পারলেই একটা সুষ্ঠু তদন্ত করা সম্ভব বলে মনে করেন ডরিন।
জানা যায়, সংসদ সদস্য আনারের খণ্ডিত দেহ খুঁজে পাওয়া যাবে এমন আত্মবিশ্বাস দেখিয়েছিলেন ঢাকার ডিবির হারুন। তার অনুরোধে সঞ্জিভা গার্ডেন্সের কমোড, স্যুয়ারেজ লাইন ভাঙা হয়।
গোয়েন্দা পুলিশের সূত্র জানিয়েছে, সেপটিক ট্যাংক ভাঙার পর মানুষের একগুচ্ছ চুল, কিছু গুঁড়ো হাড় ও মাংসের খণ্ড পাওয়া যায়। সিআইডি কর্মকর্তাদের খবরে সেন্ট্রাল ফরেনসিক ল্যাবরেটরির গবেষকরা এসে খন্ডাংশগুলো নিয়ে যান। ডিএনএ টেস্ট না হওয়া পর্যন্ত, খণ্ডাংশগুলো সংসদ সদস্য আনারের মরদেহের কি না এখনও সরকারি পক্ষ থেকে করা হচ্ছে না।