কর্মী ভিসায় মালয়েশিয়ায় যাওয়ার সময় শেষ হচ্ছে শুক্রবার (৩১ মে) মধ্যরাতে। তাই এদিন বাংলাদেশি কর্মীদের পাঠাতে একটি বিশেষ ফ্লাইটের ব্যবস্থা করে করেছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। অন্যান্য নিয়মিত ফ্লাইট মিলিয়ে মোট দেড় হাজারের মতো কর্মী যেতে পারবেন।
কিন্তু শেষ দিনের ফ্লাইটে ঢাকা থেকে কুয়ালালামপুরে যেতে ঢল নেমেছে মানুষের। মালয়েশিয়া যাওয়ার আশায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জড়ো হয়েছে হাজার হাজার মানুষ।
মালয়েশিয়ার কর্তৃপক্ষ গত মার্চেই ঘোষণা করেছিল যে, ৩১ মের পর কর্মী ভিসায় আর কেউ সেদেশে যেতে পারবে না। বাংলাদেশের অন্যতম বড় শ্রমবাজার মালয়েশিয়া। দেশটিতে ৩০ লাখ বিদেশি শ্রমিকের মধ্যে বৈধ, অবৈধ মিলিয়ে বাংলাদেশের শ্রমিক ১২ লাখ।
বিশেষ ও নিয়মিত মিলিয়ে শুক্রবার শাহজালাল কুয়ালালামপুরের ফ্লাইট নয়টি। দেড় হাজার মানুষ যেতে পারবেন। কিন্তু ভিসা পাওয়ার পরই মালয়েশিয়া যেতে পারছেন না ৩১ হাজার ৭০১ জন শ্রমিক।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিমান জানিয়েছে, যাত্রীদের নামের তালিকা, পাসপোর্ট নম্বরসহ প্রয়োজনীয় অঙ্গিকারনামা প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে বায়রার প্রতিনিধি বিমানের মতিঝিলে পাঠাবেন।
আর বায়রার তালিকা অনুসারে মতিঝিল বিক্রয় অফিস থেকে নগদ টাকায় বিমানের টিকেট কেনা যাবে। বিশেষ ফ্লাইট ছাড়বে সন্ধ্যা সোয়া সাতটায়।
কর্মী ভিসা হওয়ায় মালয়েশিয়া যাওয়ার শেষ দিনে সকাল থেকেই বিমানবন্দরে জড়ো হতে থাকেন হাজার হাজার শ্রমিক। অনেকেই জানিয়েছেন গত কয়েকদিন ধরে তারা বহু চেষ্টা করেও কুয়ালালামপুরের টিকেট পাননি।
আবার রিক্রুটিং এজেন্সিগুলো বিমানবন্দরে টিকেট দেয়ার আশ্বাস দিয়ে বহু মানুষকে জড়ো করেছে। কয়েকজন ভুক্তভোগী জানিয়েছেন, তারা কয়েকদিন ধরে বিমানবন্দরে অবস্থান করছেন। কিন্তু নিয়োগকর্তাদের কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।
বিশেষ ফ্লাইটের আসন সীমিত হলেও সেখানে টিকেটের কথা বলেও জড়ো করা হয়েছে বহু মানুষকে। কিন্তু প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী টিকেট দেওয়া তো দুরে থাক, রিক্রুটিং এজেন্সির কাউকে ফোনেও পাওয়া যাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন অনেকে।
বাংলাদেশ জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) তথ্য বলছে, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত পাঁচ লাখ ২৪ হাজার ৯৪৬ জন কর্মীকে মালয়েশিয়া যাওয়ার অনুমোদন দেয়া হয়। আর এর মধ্যে গতকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত দেশটিতে গেছেন চার লাখ ৯১ হাজার ৭৪৫ জন কর্মী মালয়েশিয়ায় গেছেন।