Published : Friday, 31 May, 2024 at 10:00 AM, Update: 31.05.2024 11:14:21 AM
বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় শনিবার পর্যন্ত সিলেটের কয়েকটি নদীর পানি আরও বাড়বে বলে জানিয়েছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র। তবে এর পর থেকে পানি কমে অবস্থার উন্নতি হওয়ার পূর্বাভাসও দিয়েছে সংস্থাটি। তাই এটিকে স্বল্পমেয়াদি আকস্মিক বন্যা হিসেবেই দেখছে তারা।
বিপৎসীমার ওপর দিয়ে বইছে সিলেটের সুরমা, কুশিয়ারা ও সারি নদীর পানি। গত বুধবার থেকে প্রবল বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে প্লাবিত হয়েছে সীমান্তবর্তী উপজেলা গোয়াইনঘাট, কানাইঘাট, জৈন্তাপুরসহ নিচু এলাকা।
বৃহস্পতিবার (৩০ মে) সকাল ৯টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় জাফলংয়ে বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ৩৫৫ মিলিমিটার। একই সময়ে ভারতের চেরাপুঞ্জিতে রেকর্ড করা হয় ৬৩৪ মিলিমিটার বৃষ্টি।
ভারী বৃষ্টিতে বাড়িঘর-রাস্তাঘাট তলিয়ে যাওয়ায় দুর্ভোগে পড়েছেন কয়েক লাখ বাসিন্দা। কয়েকটি সড়ক ডুবে যাওয়ায় বন্ধ যান চলাচল। এরই মধ্যে ঘরবাড়ি ছেড়ে আশ্রয়কেন্দ্রে উঠেছেন অনেকে।
বৃষ্টি না থামায়, শনিবার পর্যন্ত সুরমা, কুশিয়ারাসহ কয়েকটি নদীর পানি আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে বন্যা পূর্বাভাস কেন্দ্র। সংস্থাটির উপবিভাগীয় প্রকৌশলী সজল কুমার রায় বলেন, আগামী ২৪ ঘণ্টায় বিভিন্ন আবহাওয়া সংস্থার তথ্য অনুযায়ী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে। ফলে আমরা অনুমান করছি যে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় পানি হয়ত আরও বৃদ্ধি পেতে পারে। এবং বন্যার যে পরিস্থিতি এটার অবনতি হতে পারে।’
বৃহস্পতিবার সুরমা নদীর পানি কানাইঘাট স্টেশনে ১৯৬ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ১৬৬ ও সারি নদীর পানি সারিঘাট স্টেশনে ২০২ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ৯৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে বয়ে যায়। তবে, শনিবারের পর পরিস্থিতির উন্নতি হবে।
সজল কুমার রায় বলেন, এই বৃষ্টিপাতের যে পূর্বাভাস রয়েছে তাতে পানি বৃদ্ধি পেলে হয়ত স্বল্পমেয়াদি বন্যায় আমরা পড়তে যাচ্ছি। আশা করছি, সামনে বৃষ্টিপাত কমে যাওয়ায় এ পরিস্থিতি অবনতির দিকে না গিয়ে উন্নতির দিকে যাবে।’
ব্রহ্মপুত্র-যমুনাসহ উত্তর-পূর্বাঞ্চলের প্রধান নদ-নদীর পানিও বাড়বে বলে জানিয়েছে বন্যা পূর্বাভাস কেন্দ্র, যা রোববার পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে।