সম্প্রতি হয়ে যাওয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় স্বচ্ছতা বা প্রশ্নফাঁস নিয়ে কথা বলেছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী রুমানা আলী। গোপালগঞ্জ শেখ ফজলুল হক মনি স্মৃতি মিলনায়তনে একটি অনুষ্ঠানে আজ সোমবার বিকেলে এ নিয়ে কথা বলেন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী।
গোপালগঞ্জ জেলায় মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিতকরণে সামাজিক উদ্বুদ্ধকরণ ও মা সমাবেশ এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তিনি।
অনুষ্ঠানে শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বলেন, দুইটা ফেসে যখন নিয়ম প্রক্রিয়া হয়েছে, তখন কিন্তু কিছু হয়নি। আর এত বড় একটি পাবলিক পরীক্ষায় কিছু ঘটনা হয়তো ঘটে, কিছু ঘটনা হয়তো ঘটেছে। সেটা এখন তদন্ত চলছে, দেখা যাক সেটা আসলে প্রশ্ন ফাঁস নাকি অন্যকিছু। প্রশ্ন ফাঁস একটা বিষয় আর নকল আরেকটি বিষয়।
শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী রুমানা আলী আরও বলেন, তদন্তাধীন বিষয়ে আমরা এত বেশি কথা বলতে চাই না। এতটুকু বলতে পারি আমার কাছে যে তথ্য উপাত্তগুলো ছিল সেগুলোর মাধ্যমে আমাদের ডিবির সঙ্গে কথা হয়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে যে সময়টাতে পরীক্ষার্থীরা প্রশ্ন পেয়েছে, সে সময়টা কিন্তু সকাল। তো বলা যায় এটা প্রশ্ন ফাঁসের মধ্যে পড়ে না। প্রশ্ন ফাঁস হলে তো আগেই হওয়ার কথা। সেরকম কিছু আমরা এখনও দেখিনি। আমরা এখন পর্যন্ত এর কোনো প্রমাণ সেভাবে পাইনি।
শিশুদের নিয়ে শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা চাই না বাচ্চারা প্রথমে ভয়ভীতি পাক এবং স্কুল থেকে বিমুখ হয়ে পড়ুক। আমাদের চাওয়া এটাই যে বাচ্চারা আনন্দের সঙ্গে শিখুক এবং স্কুলটাকে সে তার আনন্দের জায়গা হিসেবে নিক।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন– গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক কাজী মাহবুবুল আলমের সভাপতিত্বে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মনীষ চাকমা, গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহবুব আলী খান, প্রাথমিক শিক্ষা, ঢাকা বিভাগের বিভাগীয় পরিচালক মীর্জা মো. হাসান খসরু ও গোপালগঞ্জ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নিখিল চন্দ্র হালদার। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন স্কুলে পড়াশোনা করা শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা তাদের বিদ্যালয়ের শিক্ষার পরিবেশগত সমস্যা ও অন্যান্য বিষয় প্রতিমন্ত্রীর কাছে তুলে ধরেন।