বাগেরহাটের শরণখোলায় চাল-রায়েন্দা গ্রামের বান্ধাঘাটা এলাকায় আজ সকালে বৃষ্টির মধ্যে নদীর ঘাটে থাকা কার্গো থেকে বালু তোলার সময় হঠাৎ বজ্রপাত হয়। এতে শেখ মিলন (৪০) ও মোস্তফা (৫৫) নামে দুই শ্রমিক ঘটনাস্থলেই নিহত হন। এ সময় আহত হন আরও ৬ জন। নিহত মিলনের বাড়ি বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার বদনিভাঙ্গা গ্রামে ও মোস্তফার বাড়ি পিরোজপুর সদরের বালিপাড়া গ্রামে।
এদিকে চুয়াডাঙ্গা সদর ও দামুড়হুদা উপজেলায় আজ সকালে বজ্রপাতে দু’জন কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। তারা হলেন– সদর উপজেলার ঝাঝরি গ্রামের আবদুল মালেকের ছেলে রুবেল হোসেন (৩০) ও দামুড়হুদা সদর ইউনিয়নের পাটাচোরা গ্রামের মৃত খেদের মল্লিকের ছেলে আহম্মেদ মল্লিক (৭০)।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, শনিবার সকালে মাঠে গিয়ে বৃষ্টি শুরু হলে রুবেল বাড়ি ফিরছিলেন। পথে ঝাঝরি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কাছাকাছি পৌঁছালে হঠাৎ বজ্রপাতে গুরুতর আহত হন। স্থানীয় লোকজন মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
অন্যদিকে, সকালে ছেলের সঙ্গে মাঠে যান বৃদ্ধ আহম্মেদ মল্লিক। সকাল সাড়ে ৮টার দিকে বৃষ্টি শুরু হলে বাবাকে বাড়ি পাঠিয়ে দেন তার ছেলে। বাড়ি ফেরার পথে বজ্রপাতে আহম্মেদের পুরো শরীর ঝলসে যায়। শব্দ শুনে তার ছেলে দ্রুত গিয়ে ঘটনাস্থল থেকে বাবাকে উদ্ধার করে দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে, খুলনার ডুমুরিয়ায় আজ দুপুরে বজ্রপাতে এক কৃষক ও এক ইলেকট্রিক মিস্ত্রির মুত্যু হয়েছে। দুপুর ১২টায় উপজেলার বয়ারশিং এলাকার মাঠে ধান কাটতে যান কৃষক সোহান গাজী (৩০)। এ সময় বজ্রপাতে তার মৃত্যু হয়। সোহান মাগুরাঘোনা গ্রামের ছাত্তার গাজীর ছেলে।
এ ছাড়া দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার চুকনগর বাজার এলাকায় ইলেকট্রিক মিস্ত্রি রবিউল ইসলাম গাজী (৩৩) বাজারে যাওয়ার পথে বজ্রপাতে মারা যান। রবিউল দক্ষিণ চুকনগর হেকমত আলী গাজীর ছেলে।