Published : Saturday, 11 May, 2024 at 10:50 PM, Update: 11.05.2024 10:55:05 PM
মাদারীপুরে পুলিশের কনস্টেবল পদে নিয়োগ দেয়ার নাম করে ঘুষ নেয়ার প্রমাণ পাওয়ায় দুই কনস্টেবলকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে জেলা পুলিশ।
শনিবার (১১ মে) জেলা পুলিশ সুপার মাসুদ আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বরখাস্ত হওয়া দুই কনস্টেবল হলেন- শহিদুল ইসলাম ও তানজিলা আক্তার। এর মধ্যে রাজৈর থানায় কর্মরত ছিলেন শহিদুল ইসলাম। অপরদিকে, তানজিলা আক্তার মাদারীপুর জেলা আদালতের পুলিশের শাখায় কনস্টেবল হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
পুলিশ সুপার মাসুদ আলম বলেন, ২০২২ সালে ওই দুই পুলিশ সদস্য এক চাকরিপ্রত্যাশীর কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেন। কিন্তু পুলিশ নিয়োগ স্বচ্ছতার সঙ্গে হওয়ায় ওই ব্যক্তির নিয়োগ হয়নি। এরপর ২০২৩ ও ২০২৪ সালেও ওই ব্যক্তি চাকরির জন্য পরীক্ষা দেন। কিন্তু তিনি উত্তীর্ণ হননি। পরে ভুক্তভোগী দুই পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে তাদের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দেন। অভিযোগের পর পুলিশের পক্ষ থেকে বিষয়টি তদন্ত করে প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া যায়। তাই তাদের দুজনকে সাময়িক বরখাস্তের আদেশ দেওয়া হয়েছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থাসহ মামলা প্রক্রিয়াধীন।
সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে জানা গেছে, মাদারীপুর সদর উপজেলার মোস্তফাপুর এলাকার রবিদাসের ছেলে রতন দাসের কাছ থেকে পুলিশে নিয়োগ দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ঘুষ নেন তানজিলা আক্তার ও শহিদুল ইসলাম নামে দুই কনস্টেবল। এ ঘটনায় বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হলে পুলিশ হেডকোয়ার্টারের নির্দেশে তাদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
জানা গেছে, রতন দাস একটি দোকানে কাজ করতেন। সেখানেই তার সঙ্গে পরিচয় হয় পুলিশ সদস্য তানজিলার। পরে পুলিশে নিয়োগের সময় চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে রতনের কাছ থেকে ১৪ লাখ টাকা নেন তানজিলা। বিশ্বাস অর্জনের জন্য তানজিলা নিজের স্বাক্ষর যুক্ত কমিউনিটি ব্যাংকের একটি চেক রতনকে দেন। এদিকে, পুলিশে নিয়োগ পরীক্ষার ফলাফল দিলে চাকরি না হওয়ায় দিশেহারা হয়ে পড়েন ভুক্তভোগী রতন দাস। উপায় না পেয়ে অভিযোগ করেন পুলিশ সুপার (এসপি) বরাবর।
রতন দাস বলেন, আমাকে পুলিশে চাকরি দেয়ার কথা বলে আমার কাছ থেকে ১৪ লাখ টাকা নিয়েছেন তানজিলা আক্তার নামে এক পুলিশ। কিন্তু সে চাকরি দিতে পারেননি। পরে টাকা ফেরত চাইলে সে বিভিন্ন রকমের টালবাহানা শুরু করেন। আমার কাছ থেকে টাকা নেয়ার সময় একটি চেকও দিয়েছিলেন। এরপরও বিভিন্ন অজুহাতে সে আমার টাকা ফেরত দিচ্ছেন না। এ ঘুষ নেওয়ার সঙ্গে শহিদুল নামে এক পুলিশও জড়িত।