মধ্যপ্রাচ্যের চলমান সংকটের প্রভাব দেশের অর্থনীতিতে পড়তে পারে বলে সতর্ক করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার (০৮ মে) বিকেলে সংসদ অধিবেশনের প্রশ্নোত্তর পর্বে দেয়া বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এ সতর্কবার্তা দেন। তবে সরকার সম্ভাব্য সব সমস্যার সমাধানে সতর্ক আছে বলেও জানান সরকার প্রধান। তিনি জানান, জ্বালানি ও খাদ্য পণ্যের দাম বাড়ার আশঙ্কা আমলে নিয়ে কাজ করছে সরকার।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশনের শুরুতেই প্রশ্নোত্তর পর্ব অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সংসদ সদস্যদের প্রশ্নে উঠে আসে মধ্যপ্রাচ্যের চলমান সংকটের কথা।
জবাবে সরকার প্রধান জানান, অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি হলে দেশে মূল্যস্ফীতি বাড়তে পারে। খাদ্য পণ্য ও জ্বালানির দাম বাড়ার আশঙ্কা মাথায় রেখে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেয়ার কথা জানান তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সারাবিশ্বের পাশাপাশি বাংলাদেশেও অর্থনীতি, রাজনীতিতে প্রভাব পড়বে। মূল্যস্ফীতি বাড়তে পারে, পণ্য সরবরাহতে বাধা তৈরি হতে পারে। এমন অবস্থায় সকল মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, পরিস্থিতির দিকে নজর রেখে নিজ নিজ করণীয় ঠিক করতে। স্পট মার্কেটে এলএনজি ও তেলের দাম বৃদ্ধির শঙ্কা থাকে, অতিরিক্ত আমদানির সুযোগ রয়েছে বেশ কিছু দেশ ও প্রতিষ্ঠান থেকে। চাল-গম সংগ্রহের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। ১৭ লাখ মেট্রিকটন খাদ্য শস্য সংগ্রহ করা হবে।
সরকার প্রধান বলেন, মধ্যপ্রাচ্যের যে কোন সংঘাত বা সংঘাতের খবর জ্বালানি তেলের বাজারকে প্রভাবিত করে। এতে পণ্যের জাহাজ ভাড়া বাড়ে। যা আমদানি ব্যয়ের উপর চাপ সৃষ্টি করে। সার আমদানি ব্যয়ে প্রভাব পড়ে। এতে বিকল্প উৎস হিসেবে চীন, মরক্কো, তিউনেশিয়া, কানাডা, রাশিয়া ইত্যাদি দেশের সঙ্গে বিদ্যমান সম্পর্ক আরও জোরদার করা হবে।
যানজট নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে সড়ক দুর্ঘটনা কমাতে সবাইকে সচেতন হওয়ার তাগিদ দেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি জানান, রাজধানীর সব প্রবেশমুখই যানজট মুক্ত করার পাশাপাশি সড়কের নৈরাজ্য বন্ধে কাজ করছে সরকার।
শেখ হাসিনা বলেন, গাবতলিতে যানজটের কারণ বাস মালিক-শ্রমিকদের প্রতিযোগিতা ও চাঁদাবাজি। তবে সমাধানে কাজ করছে সরকার। বিশ্রামাগারের ব্যবস্থা করতে পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। গাড়ির মালিকদেরও চালকদের বিষয়ে সচেতন হতে হবে, পর্যাপ্ত খাবার এবং বিশ্রাম পাচ্ছে কি না।
দীর্ঘ স্থায়ী করতে সড়কে আধুনিক নির্মাণ প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে বলেও জানান সরকার প্রধান।