সোমালি জলদুস্যুদের কবল থেকে মুক্ত বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহ দুবাইয়ের হামরিয়া বন্দরে কয়লা খালাস শেষ করেছে। নতুন পণ্য বোঝাই করে জাহাজটি ২৩ নাবিককে সাথে নিয়ে কয়েকদিনের মধ্যে চট্টগ্রাম বন্দরের পথে রওনা দেবে।
জাহাজ মালিক প্রতিষ্ঠান এস আর শিপিং এর প্রধান নির্বাহী মেহেরুল করিম জানান, ৫৫ হাজার মেট্রিক টন কয়লা খালাস শেষ হয় শনিবার। এরপর জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ স্থানীয় সময় বিকাল সাড়ে ৫ টা বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টায় হামরিয়া বন্দর ত্যাগ করে।
তিনি জানান, জাহাজটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের মিনা সাকার বন্দর থেকে নতুন পণ্য বোঝায় করবে। এরপর ২৩ নাবিককে নিয়ে জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরের উদ্দেশে রওনা দেবে। সে হিসেবে এমভি আব্দুল্লাহ আগামী মে মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে চট্টগ্রাম পৌঁছাতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
মেহেরুল করিম জানান, মিনা সাকার বন্দরে পণ্য বোঝাইয়ের কার্যক্রম শেষ করতে ৩ থেকে ৪ দিন লাগতে পারে।
জাহাজে থাকা এক নাবিক জানিয়েছেন, মিনা সাকার বন্দর থেকে চুনাপাথর বোঝাই করা হবে।
সোমালিয়ান জলদস্যুদের কাছ থেকে মুক্ত হওয়ার আট দিন পর গত ২১ এপ্রিল বিকাল সাড়ে ৪টায় সংযুক্ত আরব আমিরাতের আল হারমিয়া বন্দরে এসে পৌঁছে এমভি আব্দুল্লাহ। এরপর ওই বন্দরে জাহাজে থাকা ৫৫ হাজার মেট্রিক টন কয়লা খালাস করা হয়।
আফ্রিকার দেশ মোজাম্বিক থেকে কয়লা নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতে যাওয়ার পথে গত ১২ মার্চ বাংলাদেশ সময় দুপুর দেড়টার দিকে ভারত মহাসাগরে সোমালিয়ান জলদস্যুর কবলে পড়ে এমভি আব্দুল্লাহ। এরপর জাহাজটি ছিনতাই করে জলদস্যুরা ১৪ মার্চ দুপুর ২টার দিকে জাহাজটিকে সোমালিয়ার উপকূলে নিয়ে যায়। সোমালিয়ান উপকূলে দীর্ঘ ৩১ দিন জিম্মি থাকার পর ১৩ এপ্রিল মুক্ত হন নাবিকরা। ১৩ এপ্রিল দিবাগত রাত ৩টার দিকে জলদস্যুরা জাহাজ থেকে নেমে যায়। এরপর মুক্ত হন ২৩ নাবিক। ২১ এপ্রিল বিকাল সাড়ে ৪টায় সংযুক্ত আরব আমিরাতের আল হারমিয়া বন্দরে পৌঁছায় এমভি আবদুল্লাহ।