সোমালি জলদস্যুদের হাত থেকে মুক্ত বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহর ২৩ নাবিকের সবাই দেশে ফিরবেন জাহাজে করে। এর আগে দুই নাবিক দুবাই থেকে বিমানে দেশে আসার কথা থাকলেও তারাও এখন জাহাজে করে একসঙ্গে ফিরবেন
মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) এ তথ্য নিশ্চিত করেন কেএসআরএম’র গণমাধ্যম উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম।
তিনি বলেন, এমভি আবদুল্লাহর ২৩ নাবিকের সকলেই সুস্থ আছেন। জাহাজটি বর্তমানে দুবাইয়ের আল হারমিয়া বন্দরে অবস্থান করছে। মঙ্গলবার ভোর থেকে জাহাজে থাকা কয়লা খালাস শুরু হয়েছে। ২৩ নাবিক একসঙ্গে জাহাজে করে দেশে ফিরবেন। দুই নাবিক দুবাই থেকে বিমানে দেশে ফেরার কথা থাকলেও তারাও সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে এখন জাহাজে ফিরবেন বলে জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, দুবাইয়ে সব মিলিয়ে আরও এক সপ্তাহ অবস্থান করতে পারে এমভি আবদুল্লাহ। এরপর চট্টগ্রামের উদ্দেশে রওনা দেবে জাহাজটি। আগামী মে মাসের মাঝামাঝি সময়ে জাহাজটি নাবিকদের নিয়ে চট্টগ্রামে পৌঁছাবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
এদিকে, কেএসআরএম’র উপব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহরিয়ার জাহান রাহাতের নেতৃত্বে একটি টিম বর্তমানে দুবাইয়ে অবস্থান করছেন। শাহরিয়ার জাহান রাহাত এমভি আবদুল্লাহর নাবিকদের সঙ্গে দেখা করেন এবং তাদের স্বাস্থ্যের খোঁজখবর নেন।
এর আগে, গত শনিবার (১৩ এপ্রিল) সোমালিয়ার সময় রাত ১২টায় (বাংলাদেশ সময় রাত ৩টা) এমভি আবদুল্লাহ জাহাজসহ ২৩ নাবিক জলদস্যুদের কবল থেকে মুক্তি পায়। এরপরই জাহাজটি দুবাইয়ের উদ্দেশে রওনা দেয়। দীর্ঘ এক মাস নাবিকরা দস্যুদের কাছে জিম্মি ছিলেন।
এমভি আবদুল্লাহ জাহাজটি কবির গ্রুপের এস আর শিপিংয়ের মালিকানাধীন। এস আর শিপিং সূত্র জানিয়েছে, এমভি আবদুল্লাহ জাহাজে প্রায় ৫৫ হাজার মেট্রিক টন কয়লা আছে। গত ৪ মার্চ আফ্রিকার দেশ মোজাম্বিকের মাপুটো বন্দর থেকে এসব কয়লা নিয়ে যাত্রা শুরু করে জাহাজটি। ১৯ মার্চ সেটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের হারমিয়া বন্দরে পৌঁছানোর কথা ছিল। এর মধ্যে ১২ মার্চ দুপুর দেড়টার দিকে ভারত মহাসাগরে জলদস্যুদের কবলে পড়ে জাহাজটি।
এস আর শিপিংয়ের অধীনে মোট ২৪টি জাহাজের মধ্যে সর্বশেষ যুক্ত হয় এমভি আবদুল্লাহ। ২০১৬ সালে তৈরি এই বাল্ক ক্যারিয়ারটির দৈর্ঘ্য ১৮৯ দশমিক ৯৩ মিটার এবং প্রস্থ ৩২ দশমিক ২৬ মিটার। ড্রাফট ১১ মিটারের কিছু বেশি। গত বছর জাহাজটি এস আর শিপিং কিনে নেয়ার আগে এটির নাম ছিল গোল্ডেন হক। মালিকানা পরিবর্তনের পর জাহাজের নামও পরিবর্তন করা হয়। নতুন নাম রাখা হয় এমভি আবদুল্লাহ।