Published : Saturday, 20 April, 2024 at 3:24 PM, Update: 20.04.2024 3:30:08 PM
অর্জিত সম্পদ নিয়ে যে অভিযোগ উঠেছে, তার দালিলিক প্রমাণ দিতে পারলে প্রমাণদাতাকে সেই সম্পদ বিনা পয়সায় হাসিমুখে তার নামে লিখে দেয়ার চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ।
শনিবার (২০ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টায় নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে ‘আমার কিছু কথা’ শিরোনামে একটি ভিডিও আপলোড করেন তিনি। রেকর্ডেড ভিডিওটিতে এমন চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন সাবেক এই পুলিশ কর্মকর্তা।
ভিডিওবার্তায় বেনজীর দাবি করেন, পরিবার ও তার বিরুদ্ধে মানহানিকর সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে। তিলকে তাল বানিয়ে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে।
সাবেক এই আইজিপি বলেন, ‘আমার ও আমার পরিবারের সম্পত্তির যেসব মিথ্যা বর্ণনা দেয়া হয়েছে–এগুলো যদি কোনো ব্যক্তি বা কোনো গ্রুপ প্রমাণ করতে পারে, তাহলে বিনা পয়সায় হাসিমুখে সেগুলো তার নামে লিখে দেব।’
বেনজীর আহমেদ বলেন, প্রায় দুবছর আগে আমি চাকরি থেকে অবসর নিয়েছি। এই অবসরকালীন আমি নিরিবিলি জীবন কাটাচ্ছি। চাকরিকালীন ২০১২ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত আমি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি গোষ্ঠী কর্তৃক অবিরত ও ক্রমাগত অপপ্রচার এবং ব্যক্তিগত চরিত্রহননের অপচেষ্টার শিকার হয়েছি।
সাবেক আইজিপি বেনজীর বলেন, সম্প্রতি পত্রিকায় আমার এবং আমার পরিবারের বিরুদ্ধে কিছু খুবই আপত্তিজনক, মানহানিকর, অসত্য এবং বিকৃত সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। সেই সংবাদের সূত্র ধরে অন্যান্য কতিপয় আউটলেট একই রকমের সংবাদ পুনরাবৃত্তিক্রমে পরিবেশন করেছে। তবে দেশের মূলধারার প্রিন্ট এবং মিডিয়া এই অসত্য, মানহানিকর এবং বিকৃত সংবাদ পরিবেশনে কোনো আগ্রহ দেখায়নি। এজন্য তাদের প্রতি আমি ও আমার পরিবার অনেক কৃতজ্ঞ।
বেনজীর আহমেদ বলেন, গোপালগঞ্জের পারিবারিক কৃষি খামারের ভূমির পরিমাণ যা উল্লেখ করা হয়েছে, তা সঠিক নয়। জমির সকল তথ্য ট্যাক্স ফাইলে উল্লেখ আছে। এ ছাড়া আমার পরিবারের সদস্যদের জাতীয় পরিচয়পত্রসহ বেশ কিছু তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। যা আমাকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।
ঢাকা ও ঢাকার বাইরে সম্পদ নিয়ে যেসব তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে সেগুলো মিথ্যা বলে দাবি করেন বেনজীর।
সম্প্রতি ‘জাতীয় দৈনিক ’র এক প্রতিবেদনে বলা দাবি করা হয়, গাজীপুর সদর উপজেলার ভাওয়াল গড় ইউনিয়নের নলজানী গ্রামে ১৬০ বিঘা জমির ওপর বিস্তৃত ভাওয়াল রিসোর্ট রয়েছে বেনজীরের। ২০১৮ সালের ৬ এপ্রিল প্রায় ১০৬ বিঘা জমির ওপর এটির যাত্রা শুরু। পরে এতে যোগ হয় আরও ৫৪ বিঘা জমি। ৬২টি ভিলার সঙ্গে হেলিপ্যাড, রেস্তোরাঁ, জিমনেসিয়াম, সুইমিংপুল, স্পাসহ অনেক কিছু রয়েছে এর ভেতরে।
প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, এই রিসোর্টের একটি বড় অংশই গড়ে তোলা হয়েছে বনের জমি জবরদখল করে। এতে নেপথ্যে থেকে সাহস যুগিয়েছিলেন সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ। কেননা এই রিসোর্টের এক-চতুর্থাংশ শেয়ারের মালিকানা বেনজীরের পরিবারের হাতে।
এতে আরও দাবি, বনের জমি দখল করে রিসোর্ট গড়ে ওঠার সময়কালে বেনজীর আহমেদ ছিলেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বেনজির সুকৌশলে তার স্ত্রী ও দুই মেয়ের নামে সম্পদ গড়ে তুলেছেন। দেশের বাইরেও তিনি সম্পদ পাচার করেছেন। এ ছাড়া ঢাকা, গোপালগঞ্জ ও দেশের বাইরে বেনজীর ও তার পরিবারের বিপুল সম্পদের খোঁজ মিলেছে বলে দাবি করা হয়।