ঝালকাঠিতে ট্রাক, অটোরিকশা ও প্রাইভেটকারের ত্রিমুখী সংঘর্ষে ১৪ নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত আরও ২৫ জন। আহতদের ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখান থেকে ১০ জনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
বুধবার ( ১৭ এপ্রিল) দুপুরে সদর উপজেলার গাবখান সেতু এলাকায় এ সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে। তাৎক্ষণিক নিহতের নাম, পরিচয় জানা যায়নি।
সরেজমিন, ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন উদ্ধার চালাচ্ছেন। ইতিমধ্যে আহত বেশ কয়েকজনকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে ধারনা করা যাচ্ছে।
ঝালকাঠির পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আফরুজুল হক টুটুল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, গাবখান সেতুর টোলপ্লাজায় টাকা দেয়ার অপেক্ষায় ছিল অটোরিকশা ও প্রাইভেটকারসহ কয়েকটি গাড়ি। এসময় সিমেন্টবাহী ট্রাকটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সামনে থাকা সব গাড়িকে ধাক্কা দিয়ে রাস্তার পাশে নেমে যায়। এতে প্রাইভেটকার ও অটোরিকশা ট্রাকের নিচে চাপা পড়ে। ঘটনাস্থলেই মারা যান অটোরিকশার ৭ আরোহী এবং প্রাইভেটকারের ৪ আরোহী। হাসপাতালে নেয়ার পর আরও তিনজনের মৃত্যু হয়েছে।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত সিমেন্টবাহী ওই ট্রাকের নিচে চাপা পড়ে আছে প্রাইভেটকারটি। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা উদ্ধারের চেষ্টা করছেন। তবে তাৎক্ষণিকভাবে হতাহতদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।
ঝালকাঠি ফায়ার সার্ভিসের স্পেশাল অফিসার শফিকুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় সিমেন্টবোঝাই ট্রাকটি জব্দ করা হয়েছে। এ ছাড়া দুর্ঘটনাকবলিত যানবাহনগুলোর উদ্ধার কার্যক্রম চলমান আছে।
সদর থানার ওসি শহিদুল ইসলাম বলেন, দুর্ঘটনায় ১৪ জন নিহত হয়েছেন। মরদেহ ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে রয়েছে। দ্রুতই যান চলাচল স্বাভাবিক হবে।