Published : Saturday, 13 April, 2024 at 10:10 AM, Update: 13.04.2024 10:20:43 AM
আজ ১৪৩০ বঙ্গাব্দের শেষ দিন—চৈত্রসংক্রান্তি। আগামীকাল সূর্যোদয়ের মধ্য দিয়ে শুরু হবে নতুন বাংলা বছর ১৪৩১। কিন্তু চৈত্র মাসের শেষ দিনে যে চৈত্রসংক্রান্তির উৎসব।
আবহমান বাংলার চিরায়ত বিভিন্ন ঐতিহ্যকে ধারণ করে আসছে এ চৈত্রসংক্রান্তি। বছরের শেষ দিন হিসেবে পুরাতনকে বিদায় ও নতুন বর্ষকে বরণ করার জন্য প্রতি বছর এ দিনটিকে ঘিরে থাকে বিভিন্ন উৎসব-অনুষ্ঠানের আয়োজন।
মনে করা হয়, একে অনুসরণ করেই পহেলা বৈশাখ উদযাপনের এত আয়োজন। তাই এদিন হচ্ছে বাঙালির আরেক বড় উৎসব।
এর মাধ্যমে পুরনো বছরকে বিদায় জানিয়ে শুক্রবার সফলতা ও সমৃদ্ধির প্রত্যাশায় দেখা দেবে নতুন ভোর।
সনাতন ধর্মাবলম্বীরা বাংলা বছরের শেষ এ দিনটিকে পুণ্য দিন বলে মনে করেন। স্নান, দান, ব্রত ও উপবাসের মধ্যদিয়ে অন্যরকমভাবে দিনটি পালন করেন তারা।
বছর বিদায়ের উৎসব পালন করেন ব্যবসায়ীরাও। শুচি-শুদ্ধ হয়ে তারা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানও নতুন করে সাজিয়ে তোলেন। আগের পুরনো সব জঞ্জাল পরিষ্কার করেন, প্রস্তুতি নেন পুরনো সব হিসাব চুকিয়ে নতুন হালখাতা খোলার। নতুন বছরের প্রথম দিনে খোলা হয় এ হালখাতা।
দেশের বিভিন্ন স্থানে চৈত্রসংক্রান্তির মেলা উপলক্ষে গৃহস্থরা মেয়ের জামাইকে দাওয়াত করে বাড়িতেও নিয়ে আসেন। নতুন পোশাক পরার রীতি তো বহু আগে থেকেই!
চড়ককে চৈত্রসংক্রান্তির প্রধান উৎসব বলা হয়। চড়ক গাজন উৎসবের একটি প্রধান অঙ্গ। এ উপলক্ষে গ্রামের শিবতলা থেকে শোভাযাত্রা শুরু করে অন্য গ্রামের শিবতলায় নিয়ে যাওয়া হয়। একজন শিব ও একজন গৌরী সেজে নৃত্য করে এবং অন্য ভক্তরা নন্দি, ভৃঙ্গী, ভূত-প্রেত, দৈত্য-দানব সেজে শিব-গৌরীর সঙ্গে নেচে চলে।
এদিকে পুরোনো বছরের সব জরাজীর্ণতা মুছে ফেলে আগামী রোববার (১৪ এপ্রিল) বাঙালি মিলিত হবে পহেলা বৈশাখের সর্বজনীন উৎসবে। এদিন জরাজীর্ণতা, ক্লেশ ও বেদনার সবকিছুকে বিদায় জানানোর পাশাপাশি সব অন্ধকারকে বিদায় জানিয়ে আলোর পথে এগিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার থাকবে গোটা জাতির।