মুন্সিগঞ্জের টঙ্গীবাড়ী উপজেলায় পদ্মা নদীতে গোসল করতে নেমে বাবা-ছেলেসহ তিন পানিতে ডুবে নিখোঁজের ঘটনা ঘটে। প্রায় পৌনে চার ঘণ্টা পর ওই বাবাসহ দুজনের লাশ পাওয়া গেলেও এখনো নিখোঁজ রয়েছে ছেলে।
শুক্রবার (১২ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার দীঘিরপাড় বাজারসংলগ্ন নদী থেকে তাদের উদ্ধার করেন।
নিহতরা হলেন- বাংলাদেশ রেলওয়ের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী রিয়াদ আহমেদ রাজু (৪৫) ও একটি বেসরকারি ব্যাংকের কর্মকর্তা জুয়েল রানা (৪০)। নিখোঁজ রিয়াদ রামিন আরিদ প্রকৌশলী রিয়াদ আহমেদের ছেলে। সে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের দশম শ্রেণির ছাত্র।
এর আগে বিকেল ৪টার দিকে উপজেলার দিঘীরপাড় বাজার সংলগ্ন এলাকায় পদ্মা নদীতে গোসলে নেমে তিনজন তলিয়ে যান। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে মুন্সীগঞ্জ সদর ও টংগিবাড়ী উপজেলা ফায়ার সার্ভিসের টিম ও নৌ পুলিশ। তারা নদীর তলদেশ থেকে নিখোঁজ দুইজনের মরদেহ উদ্ধার করেন। এখনও আরেকজনকে উদ্ধারে অভিযান চালাচ্ছে ফায়ার সার্ভিস।
পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয়রা জানান, ঈদের ছুটিতে ঢাকার মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে উপজেলার বেশনাল গ্রামে চাচা ইকবাল মোল্লার বাড়িতে বেড়াতে আসেন রিয়াদ আহমেদ। শুক্রবার বিকেলে উপজেলার দিঘীরপাড় ইউনিয়নের ধানকোড়া এলাকায় পদ্মা নদীতে প্রায় ৩০ থেকে ৩৫ জন মিলে ইঞ্জিনচালিত ট্রলার যোগে ঘুরতে বের হন। সেখানে বেশ কয়েকজন গোসল করতে নামেন। সবাই উঠে আসতে পারলেও তিনজন নদীতে ভেসে যান।
নিহত রিয়াদ আহমেদ রাজুর ভগ্নিপতি মিথুন বলেন, আমরা ওই এলাকায় ঘুরতে এসে নদীতে গোসল করতে নামি। হঠাৎ তারা নদীর পানিতে বালুর গর্তে পড়ে ডুবে যান। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তাদের না পেয়ে পরে ফায়ার সার্ভিসে খবর দেই।
টংগিবাড়ী ফায়ার সার্ভিসের ইনচার্জ মোস্তফা কামাল বলেন, আমাদের টিম ঘটনাস্থলে উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে। ঢাকা থেকে একটি ডুবুরি দল ঘটনাস্থলে উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছে। আমরা অভিযান চালিয়ে ইতোমধ্যে দুটি মরদেহ উদ্ধার করেছি।
মুন্সীগঞ্জ সদর থানার চর আব্দুল্লাহ নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আবুল হাসনাত জানান, ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিস ও নৌ পুলিশের টিম রয়েছে। উদ্ধার কাজ চলছে।