বান্দরবানের রুমায় যৌথ বাহিনীর অভিযান পরিচালনাকালে উপজেলার পর্যটন এলাকাসমূহে যেকোনো ধরনের পর্যটক ভ্রমণ নিরুৎসাহিৎ করা হয়েছে। এক্ষেত্রে পর্যটন সংশ্লিষ্টদের চারটি নির্দেশনা মেনে চলার জন্য বলা হয়েছে।
শুক্রবার (১২ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (রুটিন দায়িত্বে) মো. দিদারুল আলম বলেন, জেলা আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও সমন্বয় সংক্রান্ত কোর কমিটির সিদ্ধান্তের আলোকে তিনি এ নির্দেশনা দেন।
গত মঙ্গলবার রুমা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. দিদারুল আলমের (রুটিন দায়িত্বে) সই করা এক পত্রে এ তথ্য জানা যায়।
স্বাক্ষরিত নির্দেশনায় বলা হয়, যৌথ বাহিনী অভিযান পরিচালনাকালে কোনো হোটেলে পর্যটকের রুম ভাড়া দেয়া যাবে না। কোনো পর্যটক পথ প্রদর্শকও পর্যটকদের কোনো পর্যটন কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া যাবে না। কোনো পর্যটন কেন্দ্রের জিপ গাড়ি নিয়ে যাওয়া যাবে না এবং নৌ পথেও পর্যটকের কোনো পর্যটন কেন্দ্রে না নিয়ে যেতে বলা হয়েছে এই নির্দেশনায়।
এর আগে গত ২ এপ্রিল বান্দরবানের রুমা উপজেলার সোনালী ব্যাংকে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। সশস্ত্র সংগঠন কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) এর সশস্ত্র সদস্যরা ব্যাংকের নিয়োজিত গ্রাম পুলিশ ও ব্যারেকে থাকা আনসার সদস্যদের ১৪ টি অস্ত্র ও গুলি লুট করে নিয়ে যায়। এছাড়াও ডাকাতির সময় ব্যাংক ম্যানেজার নেজামউদ্দিনকে অপহরণ করে নিয়ে যায় কেএনএফের সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা। পরে অভিযানে ব্যাংক ম্যানেজারকে উদ্ধার করা হয়। ওই সময় ব্যাংক সংলগ্নে অবস্থিত মসজিদে সশস্ত্র অবস্থায় প্রবেশ করে তারাবি নামাজ আদায়রত মুসল্লিদের জিম্মি করে মারধর করা হয়।
পরদিন ৩ এপ্রিল দিন-দুপুরে উপজেলা থানচিতে কৃষি ও সোনালী ব্যাংকে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ওই সময় ১৭ লক্ষ ৪৫ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যায় সশস্ত্র সন্ত্রাসী গোষ্ঠী কেএনএফ এর সশস্ত্র সদস্যরা।
এ ঘটনায় রুমা ও থানচি থানায় একাধিক মামলা দায়ের করা হয়। যৌথবাহিনীর অভিযানে এখন পর্যন্ত ১৯ জন নারীরসহ ৫৮ জনকে আটক করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।