Published : Sunday, 7 April, 2024 at 4:06 PM, Update: 07.04.2024 4:23:15 PM
গত কয়েক দিন ধরে চলমান তাপদাহের মধ্যেই দেশের কয়েকটি অঞ্চলে কালবৈশাখী ঝড়, বৃষ্টি ও বজ্রবৃষ্টি হয়েছে। এতে বজ্রপাতে দেশের তিন জেলায় নারী-শিশুসহ প্রাণ হারিয়েছেন পাঁচজন। এর মধ্যে ঝালকাঠিতে তিন জন, নেত্রকোণা ও যশোরে একজন করে মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও একজন।
রোববার (৭ এপ্রিল) তিন জেলার বিভিন্ন এলাকায় বজ্রপাতে তাদের মৃত্যু হয়।
বিষয়টি নিশ্চত ঝালকাঠির পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আফরুজুল হক টুটুল বলেন, সকালে হঠাৎ করে ঝালকাঠির আকাশ কালো মেঘ করে পুরো জেলা অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে যায়। সেই সঙ্গে বৃষ্টি ও দমকা বাতাস হয়েছে। এতে সাধারণ মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। ঝড়ের সময় মাঠে গরু আনতে গিয়ে ঝালকাঠিতে দুই উপজেলায় এক শিশু ও দুই নারীর মৃত্যু হয়।
মৃতরা হলেন, সদর উপজেলার শেখেরহাট এলাকার ফারুক হোসেনের স্ত্রী গৃহিনী মিনারা বেগম, পোনাবালিয়া এলাকার মো. বাচ্চুর মেয়ে ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী মাহিয়া আক্তার ঈশান এবং কাঁঠালিয়া উপজেলার আওরাবুনিয়া ইউনিয়নের মুন্সিরাবাদ গাজীবাড়ি এলাকার মৃত আলম গাজীর স্ত্রী গৃহিনী হেলেনা বেগম।
এছাড়াও নেত্রকোণায় খালিয়াজুরী উপজেলার হাওরে বজ্রপাতে শহিদ মিয়া নামের এক কৃষক মৃত্যু হয়েছেন। রোববার বেলা পৌনে ১২টার দিকে উপজেলার রাজঘাট হাওরে বজ্রপাতে এই নিহতের ঘটনা হয়।
নিহত ৫২ বছর বয়সী শহীদ মিয়া উপজেলার মেন্দীপুর ইউনিয়নের জগন্নাথপুর গ্রামের কফিল উদ্দিনের ছেলে।
নিহতের ভাই রেজাউল করিম জানান, সকালে বাড়ি থেকে বের হয়ে গ্রামের সামনে রাজঘাট হাওরে মরিচ ক্ষেতের পরিচর্যা করছিলেন তার ভাই। দুপুরের দিকে হঠাৎ বজ্রসহ বৃষ্টি শুরু হয়। এ সময় বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই মারা যান আমার ভাই।
খালিয়াজুরী থানার ওসি উত্তম কুমার সাহা জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। নিহত শহীদ মিয়ার পরিবারের সদস্যদের সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
অন্যদিকে বজ্রপাতে যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলায় ধান ক্ষেতে কাজ করতে গিয়ে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। নিহত আব্দুল মালেক পাটোয়ারী (৬০) উপজেলার বড়পোদাউলিয়া গ্রামের মৃত ওমর আলি পাটোয়ারীর ছেলে।
রোববার সকালে উপজেলার বড়পোদাউলিয়া গ্রামের বিলে এ ঘটনা ঘটে বলে জানান ঝিকরগাছার শংকরপুর ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য পোদাউলিয়া গ্রামের জাহান আলি।
জাহান আলি বলেন, সকালে বাড়ির পাশের বিলে নিজের ধানক্ষেতে কাজ করতে গিয়েছিলেন আব্দুল মালেক। এ সময় বৃষ্টিপাতের সঙ্গে হঠাৎ বজ্রপাত হলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। বৃষ্টি থামার পর অন্য কৃষকরা বিলে গেলে তাকে মৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে আসে।