প্রথমবারের মতো দেশটিতে মৎস্যশিল্প ও জাহাজ নির্মাণকাজের সুযোগ পাবেন বাংলাদেশিরা। সব মিলিয়ে এ বছর দক্ষিণ কোরিয়ার বিভিন্ন খাতে যেতে পারবেন ১০ হাজার কর্মী। আর এই পুরো কাজ সম্পন্ন হবে সরকারি রিক্রুটিং এজেন্সি-বোয়েসেলের মাধ্যমে। গত বছর বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য ৭ হাজার কোটা নির্ধারিত থাকলেও দেশটিতে যেতে পেরেছেন ৫ হাজার কর্মী। দক্ষ কর্মীর অভাবে ফাঁকা থেকেছে দুই হাজার।
দক্ষিণ কোরিয়া চলতি বছর কোটার সংখ্যা ৭ হাজার থেকে ১০ হাজারে বাড়িয়েছে। শুধু তাই নয়, প্রথমবারের মতো মৎস্যশিল্প ছাড়াও উৎপাদন ও জাহাজ নির্মাণকাজের জন্য দেশটিতে যাওয়ার সুযোগ পাবেন বাংলাদেশিরা।
বোয়েসেলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মল্লিক আনোয়ার হোসেন সতর্কবার্তা দিয়ে কোরিয়াগামী কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, শ্রমিকরা যদি মালিকের অনুমতি নিয়ে অন্য কোম্পানিতে যায়, তবে মালিক আবার বাংলাদেশ থেকে লোক নিবে। কিন্তু কোম্পানির বিরুদ্ধে অভিযোগ, মামলা করে যদি যায়, সেক্ষেত্রে সেই মালিক আর বাংলাদেশ থেকে লোক নিবে না। আমাদের দেশের প্রতি একটি বিরূপ প্রতিক্রিয়াও সৃষ্টি হবে। এ জন্য আমরা যে অক্লান্ত পরিশ্রম করে এই কোঠা পেয়েছি, সেটা ধরে রাখার দায়িত্ব আমাদের কর্মীদেরই।
এদিকে প্রবাসী কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী জানিয়েছেন, বাংলাদেশি কর্মীদের আরও দক্ষ বানানোর জন্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
বোয়েসেলের মাধ্যমে কোরিয়া যেতে কর্মীদের তেমন বেশি খরচ নেই। বোয়েসেলে খরচ হয় সর্বোচ্চ ৩৫ হাজার টাকা। আর যেতে উড়োজাহাজ ভাড়া ৫০ থেকে ৫৫ হাজার টাকা। মাসে বেতন অন্তত ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা। অতিরিক্ত সময় কাজ করলে কেউ কেউ তিন লাখ টাকাও আয় করতে পারেন। থাকা ও খাওয়ার খরচ চালায় কোম্পানি। এত সুযোগ থাকায় দেশটিতে যেতে আগ্রহী কর্মী অনেক। পাঁচটি ধাপে প্রক্রিয়াটি শেষ হয়। শুরুতে অনলাইন নিবন্ধন। এরপর লটারি করে বোয়েসেল।
বিজয়ীদের কোরিয়ার ভাষাগত দক্ষতার পরীক্ষা দিতে হয়। এটি পাস করলে দক্ষতা ও স্বাস্থ্য পরীক্ষা। এরপর পুলিশের কাছ থেকে ছাড়পত্র নিয়ে ভিসার আবেদন করা যায়।