Published : Saturday, 30 March, 2024 at 12:19 PM, Update: 30.03.2024 12:24:21 PM
তিনটি ভিন্ন শব্দ, তবে বাংলা ফোনেটিকে বানানটা একই। সে শব্দ দিয়ে চাইলে চোখ বুঝে বিশ্রাম নিতে পারে, পারেন উইকেটের পেছনে ব্যাটসম্যানের দেয়া ক্যাচ ধরতে, অথবা পারেন পা ফসকে আছাড় খেতে। চট্টগ্রামে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজের শেষ টেস্টে এই স্লিপই করল বাংলাদেশের সর্বনাশ।
প্রথম সেশনে টস জিতে ব্যাট করতে নামা শ্রীলঙ্কা বিনা উইকেটে ৮৮ রান তুলেছে। ৯ রানে জীবন পাওয়া নিশান মাদুশকা পেয়েছেন ফিফটি।
সিলেট টেস্টে লঙ্কানদের বাগে পেয়েছিল বাংলাদেশ। ৫৭ রানে ৫ উইকেট পাওয়ার পর নামা কামিন্দু মেন্ডিস প্রথম বলেই ক্যাচ দিয়েছিলেন। কিন্তু স্লিপে দাঁড়ানো জয় সে ক্যাচ ফেলে দিয়েছেন। মেন্ডিস জীবন পেয়ে ১০২ রানের ইনিংসে দলকে ২৮০ রান এনে দেন। এই আত্মবিশ্বাস পরের ইনিংসেও কাজে লাগিয়ে তুলে নিয়েছিলেন আরেক সেঞ্চুরি। বাংলাদেশও হেরেছিল ৩২৮ রানে।
চট্টগ্রামের উইকেট অতটা পেসবান্ধব নয়। বাংলাদেশ তাই নেমেছে মাত্র দুই পেসার নিয়ে। সপ্তম ওভারেই বল হাতে পেয়েছেন সাকিব আল হসান। অথচ ষষ্ঠ ওভারেই ব্রেকথ্রু এনে দিতে পারতেন অভিষিক্ত হাসান মাহমুদ।
তাঁর খাটো লেংথের বল খেলবেন কি খেলবেন না-এই দ্বিধায় ফেলে দিয়েছিল মাদুশকাকে। এই সুযোগে বল ব্যাটের স্পর্শ নিয়ে চলে যায় দ্বিতীয় স্লিপে। সেখানে ছিলেন জয়। প্রথম টেস্টের ক্যাচটির চেয়ে তুলনামূলক সহজ ছিল এই ক্যাচ। কিন্তু সেদিনের মতো আজও দ্বিতীয় স্লিপে থাকা জয় ফেলে দিলেন ক্যাচ। স্লিপ ফিল্ডারদের জন্য ডালভাত, এমন এক ক্যাচ ফেলে দিয়েছেন তিনি। মনে হচ্ছিল যেন তখনো ঘুম কাটেনি তাঁর।
এমনিতেই উইকেটে প্রাণ নেই, সে সঙ্গে ফিল্ডারের এমন সাহায্য পেয়ে মাদুশকাও রান তোলায় মনোযোগ দিয়েছেন। প্রথম ঘণ্টাতেই পঞ্চাশ পেরিয়ে যায় শ্রীলঙ্কা।
বাংলাদেশ আরও একটা ক্যাচ ফেলেছে। ২২তম ওভারে হাসান মাহমুদের বলে পুল করেছিলেন দিমুথ করুনারত্নে। সীমানায় একটু এগিয়ে থাকায় সাকিবকে পেছন দিকে ডাইভ দিতে হয়েছিল। কিন্তু ক্যাচ ধরতে পারেননি সাকিব। বল হাতে থেকে পড়ে ছক্কা হয়েছে। একটু পরেই ফিফটি পেয়েছেন মাদুশকা।