নীলফামারীতে জমি লিখে না দেয়ায় কবরে শুয়ে বাবার লাশ দাফনে বাধা দিয়েছেন ছেলে নওশাদ আলী। পারিবারিক কবরস্থানে মৃত বাবার জন্য কবর খোঁড়া হলেও ওই কবরে নিজে শুয়ে বাবার মরদেহ দাফনে বাধা সৃষ্টি করেন তিনি।
শুক্রবার ( ২৯ মার্চ) সদর উপজেলার চাপড়া সরমজামি ইউনিয়নের যাদুরহাট বাটুলটারি গ্রামে ঘটনাটি ঘটে।
স্থানীয়রা জানায়, ওই গ্রামের ৬২ বছর বয়সী মজিবুর রহমান বার্ধক্যজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন ছিলেন নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার ভোরে মারা যান তিনি। তার রয়েছে দুই স্ত্রী। মৃত্যুর আগে দ্বিতীয় স্ত্রীকে দুই শতাংশ এবং ওই স্ত্রীর ছোট ছেলেকে পাঁচ শতাংশ জমি লিখে দেন মজিবুর রহমান।
অন্যদিকে প্রথম স্ত্রীর তিন ছেলে ওয়াজেদ আলী, খয়রাত আলী ও নওশাদ আলীকে মৌখিকভাবে তিন শতাংশ জমি দান করেন মজিবুর রহমান। কিন্তু ওই তিন ছেলেকে জমি রেজিস্ট্রি করে দেওয়ার আগেই শুক্রবার ভোরে মৃত্যু হয় মজিবুর রহমানের। মৃত্যুর আগে মৌখিকভাবে দেওয়া ওই জমি রেজিস্ট্রি না করায় তার মরদেহ দাফনে বাধা দেয়া হয়। বাবার জন্য খোঁড়া কবরে শুয়ে পড়েন মেজো ছেলে নওশাদ আলী।
এ ঘটনায় স্বজনসহ এলাকাবাসী অনেক চেষ্টা চালিয়েও নওশাদকে থামাতে পারেননি। এসময় পুলিশে খবর দেয় হয়। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে অন্য জায়গায় কবর খুঁড়ে মজিবুর রহমানের দাফন কাজ সম্পন্ন করেন স্বজনরা।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন চাপড়া ইউনিয়নের পরিষদের ৪ নং ওয়ার্ডের সদস্য (মেম্বার) মাহাবুল ইসলাম।
তিনি বলেন, জমি লিখে না দেওয়ায় বাবাকে কবর দিতে বাধা প্রদানের ঘটনাটি আসলেই দুঃখজনক। এ নিয়ে এলাকায় সমালোচনার ঝড় বইছে। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে মুজিবুর রহমানের দাফনকাজ সম্পন্ন হয়।