Published : Thursday, 28 March, 2024 at 4:56 AM, Update: 28.03.2024 5:15:33 AM
জলবায়ু সংকটের চরম প্রভাব, যুদ্ধ এবং মহামারির কারণে ব্যাপক খাদ্য সংকট দেখা দেয়ার সতর্কবার্তা দেয়া হচ্ছে বারবার। তারপরও ভাগাড়ে বাড়ছে খাদ্য বর্জ্যের স্তূপ। জাতিসংঘের নতুন এক রিপোর্টে দেখা গেছে, বিশ্বে প্রতিদিন প্রায় ১০০ কোটি জনের বেশি খাবার অপচয় হচ্ছে। অথচ এর বিপরীতে খাদ্যের অভাবে প্রতি রাতে বিশ্বের নানা প্রান্তে ক্ষুধার্ত অবস্থায় ঘুমুতে যান প্রায় ৮০ কোটি মানুষ।
বৃহস্পতিবার ( ২৮ মার্চ) জাতিসংঘের এনভায়রনমেন্ট প্রোগ্রাম (ইউএনইপি) ফুড ওয়েস্ট ইনডেক্স রিপোর্ট-২০২৪ এ তথ্য প্রকাশ করেছে। এ রিপোর্ট প্রকাশের পরই উৎপাদিত খাদ্য বিতরণে বিশ্বের সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সংস্থাটির পরিচালক ইঙ্গার অ্যান্ডারসন।
জাতিসংঘের ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২০২২ সালে বিশ্ব ১০০ কোটি মেট্রিক টনের বেশি খাবার অপচয় করেছে। নষ্ট হওয়া খাবারের মধ্যে এক পঞ্চমাংশ গৃহস্থালি, রেস্তোরাঁ, খাদ্য পরিষেবা এবং খুচরা খাতের। এতে আরও বলা হয়েছে, প্রায় এক তৃতীয়াংশ খাদ্য উৎপাদন প্রক্রিয়ার সময় নষ্ট হয়ে যায়। এছাড়া খাদ্য উৎপাদনের খামার থেকে খাদ্য গ্রহণ পর্যন্ত পৌঁছানোর সময়ে নষ্ট হয় প্রায় ১৩ শতাংশের উপরে।
বিশ্বের জনসংখ্যার প্রায় এক তৃতীয়াংশ যখন খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার সম্মুখীন এবং প্রায় ৮০ কোটি মানুষ অনাহারে থাকছে তখন খাদ্যর এই অপচয়ের পরিসংখ্যান রীতিমত ভাবিয়ে তুলেছে।
খাদ্য অপচয় একটি বিশ্বব্যাপী ট্র্যাজেডি উল্লেখ করে অ্যান্ডারসেন বলেন, সারা বিশ্বে খাদ্য নষ্ট হওয়ায় লক্ষ লক্ষ মানুষ আজ ক্ষুধার্ত হচ্ছে। শুধুমাত্র এটি একটি বড় সমস্যা নয়, এছাড়াও এই ধরনের অপ্রয়োজনীয় বর্জ্যের প্রভাব জলবায়ু এবং প্রকৃতির মোকাবিলায় খরচ বাড়ছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২২ সালে গৃহস্থালি থেকে ৬০ কোটি মেট্রিক টনের বেশি খাদ্য নষ্ট করেছে। যা মোট অপচয়ের প্রায় ৬০ শতাংশ। এছাড়া খাদ্য পরিষেবা খাতের অপচয় প্রায় ২৮ শতাংশ এবং খুচরা খাত ১২ শতাংশ বর্জ্যের জন্য দায়ী। গড় ব্যক্তি প্রতি বছরে ৭৯ কিলোগ্রাম খাবার অপচয় করে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, খাদ্য অপচয় কেবল উন্নত বিশ্বের ঘটনা নয়। উচ্চ এবং মধ্যম আয়ের দেশগুলিতে প্রতি বছর জনপ্রতি ৭ কিলোগ্রাম খাবারের অপচয় হয়।