শিরোনাম: |
রোজার শুরুতেই অস্থির হয়ে উঠেছে ভোগ্য পণ্যের বাজার। এ সময়ের বাড়তি চাহিদার প্রায় সব পণ্যের দামই এখন বেশ চড়া। পুরো মাস এই বেসামাল বাজার পরিস্থিতি কিভাবে সামলাবে, সে আশঙ্কায় অস্বস্তিতে ভোক্তারা। দাম কমানোর জন্য সরকার নানা উদ্যোগের পাশাপাশি বেশ কয়েকটি পণ্যের শুল্ক কমালেও এর কোনো প্রভাব নেই বাজারে। বরং দাম বেড়েছে বেগুন, শষা ও লেবুর।
সোমবার (১১ মার্চ) রাজধানীর মিরপুর-৬ নম্বর সেকশন কাঁচাবাজার, পশ্চিম আগারগাঁওয়ের কাঁচাবাজার, মালিবাগ, মগবাজার, রামপুরা কাঁচাবাজার ও কারওয়ান বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ব্যবসায়ীরা বড় আকারের এক হালি লেবুর দর হাঁকছেন ৮০ টাকা। অর্থাৎ প্রতি পিস লেবু ২০ টাকা। আকারে ছোট লেবুর পিস কেনা যাচ্ছে ১২ থেকে ১৫ টাকায়।
বিক্রেতারা বলছেন, গত দুদিনের ব্যবধানে প্রতি হালি লেবু ২০-৩০ টাকা, বেগুন ও শসা কেজিপ্রতি ২০ টাকা বেড়েছে। ইফতারে ব্যবহার হয় এমন অনেক পণ্যের দাম বেড়েছে গত দুদিনে। রমজানে বেশি ব্যবহার হয় এমন বেশির ভাগ কাঁচা পণ্যের দাম বাড়তির দিকে।
এদিকে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৯০ থেকে ১১০ টাকা। গত বছর রোজার আগে একই পেঁয়াজের কেজি ছিল ৪০ টাকার মধ্যে।
এবার রোজায় দাম বেড়েছে ব্রয়লার মুরগির। কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে বিক্রি হয়েছে ২১০ থেকে ২২০ টাকায়।
এ ছাড়া মসুর ডাল, অ্যাংকর ডাল, মুগডাল, ছোলা, চিনি, সোনালি মুরগি, গরুর মাংস, বিভিন্ন ধরনের মাছ, বেগুনসহ বিভিন্ন ধরনের সবজি, ধনেপাতা ও ফলের দাম। কমেছে শুধু সয়াবিন তেলের দাম।
বাজারঘুরে দেখা যায়, মানভেদে প্রতিকেজি বেগুনের দাম ২০ থেকে ৪০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১২০ টাকা পর্যন্ত। শসার কেজি ১০০ টাকা।
ক্রেতারা বলছেন, অন্যান্য দেশে রোজা এলে পণ্যের দাম কমানো হয়। বাংলাদেশে বাড়ে।
এদিকে নতুন করে ছোলার দাম কেজিতে বেড়েছে ৭ টাকা। ভারতীয় মসুর ডাল কেজিতে ২-৩ টাকা বেড়েছে। বাড়তি দরের তালিকায় আছে চিনিও। প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে দেড় শ টাকার ওপরে।
বেড়েছে খেজুরের দাম। টিসিবির হিসাবে, সাধারণ মানের খেজুরের সর্বনিম্ন দর এখন ২৮০ টাকা, যা এক সপ্তাহ আগেও ২৫০ টাকা ছিল। আবার ইফতারে অনেকেই খেজুরের পাশাপাশি মাল্টা, আপেল, পেয়ারা, আনারস, তরমুজ ইত্যাদি রাখার চেষ্টা করেন। ফলের দাম কেজিতে ২০ থেকে ৫০ টাকা বেড়েছে। যেমন এক কেজি মাল্টা ৩৫০ থেকে ৩৭০ টাকা চাইছেন বিক্রেতারা।
দেশ সংবাদ/এসএইচ
আপনার মতামত দিন
|