শিরোনাম: |
রাজধানীর উত্তর বাড্ডার বাসিন্দা হাজী আব্দুল কাদের মিয়া। মৃত্যুকালে তিনি দুই কন্যা ও স্ত্রীকে রেখেছেন। তাদের মধ্যে বড় মেয়ে নিলুফা আক্তারের বিরুদ্ধে কৌশলে বাবার সকল সম্পত্তি হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় মামলাও গড়িয়েছে আদালতে। নিজের সম্পত্তির অধিকার পেতে নিলুফা আক্তারসহ আটজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন ছোট বোন মুর্শিদা আক্তার।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, সাততলা একটি বাড়ি, দুইতলা বিশিষ্ট হাজী আব্দুল কাদের মার্কেটসহ ১০ কাঠা জমি, ১তলা আকেরটি বাড়ীসহ ১৫ কাঠা জমি এবং গাজীপুর মৌজায় ৫ কাঠা জমি নিজের নামে লিখে নেন নিলুফা।
এ নিয়ে পিতার সম্পত্তি সুষ্ঠ বন্টন ও সমাধানের অনুরোধ জানিয়ে ২০২২ সালের ১০ অক্টোবর স্থানীয় কাউন্সিলর বরবার আবেদন করেন মুর্শিদা। বিষয়টি আমলে নিয়ে দুইপক্ষকে হাজির হতে নোটিশ দেয় কাউন্সিলর। সেখানে সালিশ বৈঠকে ছোট বোন মুর্শিদা আক্তার পিতার মৃত্যুর পর তার বড় বোন নিলুফা নিজেকে একক ওয়ারিশ দেখিয়ে তাকে বঞ্চিত করে বাবার সব সম্পত্তি নিজ নামে করার অভিযোগ করেন। এসময় আব্দুল কাদের তার নামে সকল সম্পত্তি নিয়ে গেছেন বলে দাবি করেন নিলুফা। এ কথার পরিপ্রেক্ষিতে সকল প্রমানাদি ও দলিল নিয়ে এক সপ্তাহের মধ্যে পুনরায় অফিসে আসতে বলা হলেও নিলুফা আসনেনি। বিষয়টি সমাধানে কাউন্সিল তাকে বারবার ফোন দেয়া হলেও তাতে সারা দেনননি।
এ বিষয়ে ৩৮ ওয়ার্ড কাউন্সিলর শেখ সেলিম জানান, নিলুফা যোগাযোগ না করায় আমাদের পক্ষে বিষয়টি সমাধান করা সম্ভব হয়নি। তাই বিষয়টি নিয়ে আমরা ভুক্তভোগীকে আইনের শরণাপন্ন হওয়ার জন্য বলি।
স্থানীয় ও আত্মীয় স্বজনরা জানান, আব্দুল কাদের মিয়ার কোন ছেলে সন্তান ছিলো না। মৃত্যু আগে কোন সম্পত্তির ভাগ ভাটোয়ারার কথা শুনিনি। কিন্তু তিনি মারা যাবার পর শুনলাম বড় মেয়ের নামে সবকিছু লিখে গেছে। নাম প্রকাশে তার এক আত্মীয় বলেন, কোটি কোটি টাকার সম্পত্তির লোভ সামলাতে পারেননি তার বড় মেয়ে নিলুফা ও তার ছেলে ইমরান।
এ নিয়ে জানতে চাইলে মুর্শিদা আক্তার অভিযোগ করে বলেন, ২০২২ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি সম্পত্তি ভাগবাটোয়ারা নিয়ে আত্মীয়-স্বজন ও প্রতিবেশীদের নিয়ে বসা হয়েছিল। ওইদিন নিলুফা ও তার ছেলে ইমরান স্থানীয় সন্ত্রাসী নিয়ে বৈঠক পন্ড করে দেয়। এরপর কয়েকবার উদ্যোগ নিলেও ইমরান তার সন্ত্রাসী দলবল নিয়ে উপস্থিত হয়ে বিভিন্ন হুমকি ও ভয়ভীতি দেখায়।
আপনার মতামত দিন
|