মঙ্গলবার (৫ মার্চ) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরীর আদালতে আত্মসমর্পণ পূর্বক জামিন চেয়ে আবেদন করেন তিনি। শুনানি শেষে আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এদিন হুইল চেয়ারে চেপে আদালতে হাজির হন বিএনপির এই সিনিয়র নেতা। আত্মসমর্পণ করে জামিন চান তিনি। অন্যদিকে জামিনের বিরোধিতা করে রাষ্ট্রপক্ষ। শুনানি শেষে হাফিজকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।
এর আগে গত ১৪ ডিসেম্বর হাঁটুতে অস্ত্রোপচারের চিকিৎসার জন্য এয়ার ইন্ডিয়ার একটি ফ্লাইটে রাজধানীর শাহজালাল বিমানবন্দর ত্যাগ করেন মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ। ভারতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ২৮ ডিসেম্বর আদালত তার ২১ মাসের কারাদণ্ড দেন। পাশাপাশি পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে এক মাসের কারাদণ্ড দেন। পরে গত ৩ মার্চ ভারতে চিকিৎসা শেষে দেশে ফেরেন তিনি।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১১ সালের ৪ জুন মহাখালী ওয়্যারলেস গেটে গাড়ি ভাঙচুর, আগুন ও পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে গুলশান থানায় মামলা হয়। এই মামলায় আসামী করা হয় হাফিজ উদ্দিনকে। এ তিন বছর পর ২০১৪ সালের ২৯ এপ্রিল মামলাটি তদন্তের পর গুলশান থানার এসআই কামরুল হাসান তালুকদার আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। ২০২২ সালের ২৫ এপ্রিল এ মামালায় আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন। মামলাটির বিচার চালাকালীন সময়ে আদালত ১২ জন সাক্ষীর মধ্যে ৭ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।